কতজন প্রবাসী ফুটবলার আসছেন বাফুফের ট্রায়ালে?

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর আগমনে বদলে গেছে দেশের ফুটবল। ভক্ত-সমর্থকদের যেমন উন্মাদনা বেড়েছে, তেমনি লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়াতে উন্মুখ অনেক ফুটবলার। প্রবাসে থাকা অনেক ফুটবলার এখন কোনো দ্বিধা ছাড়াই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তাদের সুযোগ দিতে নতুন এক আয়োজন করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
প্রবাসী ফুটবলারদের জন্য ‘বিএফএফ নেক্সট গ্লোবাল স্টার’ ট্রায়ালের আয়োজন করছে বাফুফে। আগামী ২৮-৩০ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় ট্রায়ালে অংশ নেবেন ১৪টি দেশের মোট ৫২ জন ফুটবলার। ১৪-২৭ বছর বয়সী ফুটবলাররা এতে অংশ নেবেন।
বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটুর নেতৃত্বে জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে এই ট্রায়াল। তার অধীনে থাকবে পারফরম্যান্স মূল্যায়ন কমিটি। যেখানে ঢাকা আবাহনীর কোচ মারুফুল হক, মোহামেডানের কোচ আলফাজ আহমেদ থাকবেন। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
বাফুফের দেওয়া তথ্যমতে, ট্রায়ালে সবচেয়ে বেশি ফুটবলার অংশ নিচ্ছেন ফুটবলের আঁতুড়ঘর খ্যাত ইংল্যান্ড থেকে। ইংলিশ ভূমি থেকেই আসবেন ২০ জন ফুটবলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ জন ফুটবলার আসবেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সুইডেন থেকে ৫ জন এবং ২ ফুটবলার আসবেন কানাডা থেকে। এছাড়া ইতালি, বেলজিয়াম, ওয়েলস, ফিনল্যান্ড, মালয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া—এই ১১টি দেশ থেকে একজন করে ফুটবলারকে নির্বাচিত করা হয়েছে ট্রায়ালের জন্য।
নতুন এই আয়োজন নিয়ে আজ বুধবার (২৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলন করে বাফুফে। সেখানে বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী জানান, দেশের হয়ে যারা প্রতিনিধিত্ব করতে চান এমন ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে এই আয়োজন।
জাহেদী বলেন, ‘আমরা চাই যেসব ফুটবলাররা দেশের হয়ে খেলতে চায়, তাদের সবাইকে অন্তত সেই সুযোগটা করে দিতে। ঠিক এই কারণে তিন দিনের এই আয়োজন। ডেভেলপমেন্ট কমিটির পাশাপাশি অন্যান্য কমিটিগুলোও পুরো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। এই ট্রায়াল থেকে যারা ভালো করবেন, তারা বয়সভিত্তিক দলগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন।’
দেশে না থাকলেও পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখবেন জাতীয় দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। দেশকে ভবিষ্যতের তারকা উপহার দিতে এটি হতে যাচ্ছে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, এমনটাই মনে করেনটিটু। এমন আয়োজনকে দেশের ফুটবলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক মাইলফলক বলে মনে করছেন তিনি।
টিটু বলেন, ‘আমাদের এই ট্রায়ালের প্রথম দুদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সকাল-বিকাল দুটো করে সেশন হবে। যারা আসবেন ট্রায়ালে তাদের সবাই পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন। আয়োজনের শেষ দিন দুটো দলে ভাগ হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন ফুটবলাররা, যেখানে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে ক্লাব ফুটবলের কর্তারাও থাকবেন। এমন উদ্যোগ দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে দারুণ ভূমিকা রাখবে।’