দুজনই কিংবদন্তি, একজন ভারতীয় অন্যজন ইংলিশ। শচীন টেন্ডুলকার টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিক আর জেমস অ্যান্ডারসন পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে চলমান টেস্ট সিরিজের নামকরণ করা হয়েছে এই দুজন কিংবদন্তির নামানুসারে ‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার’ ট্রফি। তবে নামটি মানতে পারছেন না ভারতের আরেক কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার।

গাভাস্কার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, অ্যান্ডরসনের নামটা টেন্ডুলকারের নামের আগে কেন! তিনি মনে করেন টেন্ডুলকারের নামটা আগে আসা উচিত ছিল। গাভাস্কার মিড-ডেতে একটি কলামে লিখেছেন, ‘ইসিবি (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) যে কোনো নাম রাখতে পারে, তবে ভারতের অধিকাংশ ক্রিকেট ভক্তের জন্য এটি বিভ্রান্তিকর যে অ্যান্ডারসনের নাম আগে এসেছে। টেন্ডুলকার শুধু কপিল দেবের মতো ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারের একজনই নন, অ্যান্ডারসনের থেকে বয়সেও ১২ বছরের সিনিয়র। টেস্ট ক্রিকেটে রান ও সেঞ্চুরির দিক থেকে টেন্ডুলকার সবার ওপরে এমনকি ওয়ানডে ক্রিকেটেও তার রান সর্বোচ্চ।’

গাভাস্কার শুধু নাম নিয়ে আপত্তি তুলেই থেমে যাননি, ভারতীয় ক্রিকেট ভক্ত ও গণমাধ্যমকেও অনুরোধ করেছেন টেন্ডুলকারের নামটা আগে আনার জন্য। তিনি বলেন, ‘অ্যান্ডারসন টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এমনকি ওয়ানডেতেও শচিনের মতো রেকর্ড নেই। শচিন বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য, যা অ্যান্ডারসন নন। অ্যান্ডারসন দুর্দান্ত বোলার, কিন্তু মূলত ইংল্যান্ডের মাটিতে। দেশের বাইরে তার রেকর্ড শচিনের মতো নয়। আমি সব ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের এবং গণমাধ্যমকে অনুরোধ করছি ট্রফির নাম ‘টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফি’ বলা হোক।’

ট্রফির নামটা দুই দেশের বোর্ড মিলেই ঠিক করেছে। কিন্তু কেনো অ্যান্ডারসনের নামটা আগে এসেছে সেটির ব্যাখা দেয়নি কোন বোর্ডই। ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে এর আগে ভিন্ন নামেই হতো সিরিজ। ভারত ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলতে গেলে ট্রফির নাম হতো পতৌদি ট্রফি আর ইংল্যান্ড ভারতে সিরিজ খেলতে গেলে তার নাম হতো অ্যান্থনি ডি মেলো ট্রফি।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন এই দুজন। শচিন ২০০টি, আর অ্যান্ডারসন ১৮৮টি টেস্ট খেলেছেন।

টেস্টে অ্যান্ডারসন পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭০৪টি উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু সব মিলিয়ে মুতিয়া মুরালিধরন এবং শেন ওয়ার্নের পর তৃতীয় স্থানে আছেন তিনি। অন্যদিকে, ১৫ হাজার ৯২১ রান করে শচিন টেন্ডুলকার এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।