যেকোন পরিস্থিতিতে খেলাটা বের করে আনতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ। রোববার (২২ জুন) রাতে ম্যাচের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। সেখান থেকে তারা দারুণভাবে কামব্যাক করেছে। আলোনসোর শিষ্যরা জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। আক্রমণের পর আক্রমণ করে যাওয়া পাচুকার সামনে ওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন থিবো কোর্তোয়া।

নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লটে মেক্সিকার ক্লাব পাচুকাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলর পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।

ম্যাচের ৭ মিনিটে পাচুকার সলোমন রন্দনকে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রিয়ালের সেন্টার-ব্যাক রাউল আসেনসিও। তবে ১০টি শট সেভ দিয়ে কোন বিপদ হতে দেননি গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। পাচুকার খেলোয়াড়রা রক্ষণভাগ ভেঙে রিয়ালের পোস্টে শট নিলেও ওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কর্তোয়াকে পরাস্ত করতে পারেনি। মেক্সিকান ক্লাবটি এদিন গোলের জন্য ২৫টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখলেও গোল করেছে মাত্র ১টি।

আক্রমণভাগের সেরা তারকা এমবাপ্পে এই ম্যাচেও ছিল না। তবে বাকিরা তাদের কাজটা যথাযথভাবেই করেছে। পোস্টে রিয়াল মাদ্রিদের নেওয়া ৮টি শটের ৩টি ছিল লক্ষ্যে এবং সবগুলোই জালে জড়িয়েছে।

প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জুডে বেলিংহাম। এরপর ৪৩তম মিনিটে গন্সালো গার্সিয়ার সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্দা গুলার।

দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন উরুগুয়েন তারকা ফেদে ভালভার্দে। ভিনিসিয়াসের পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে ব্রাহিম দিয়াসকে পাস দিয়ে বক্সে ঢুকে যান তিনি। এরপর বল দিয়াসের ক্রসে দরিুণ এক ভলিতে গোল করেন ভালভার্দে।

ম্যাচের ৮০ মিনিটে মন্তিয়েলের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট রিয়াল ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোন গোল না হলে ৩-১ ব্যবখানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।

‘এইচ’ গ্রুপে ২ ম্যাচে ১ জয় ও ১ ড্রতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এখন রিয়াল মাদ্রিদ। মেক্সিকান ক্লাব পাচুকা দুটি ম্যাচের দুটিতেই হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে।