প্রথম শিরোপা জিততে প্রোটিয়াদের দরকার ২৮২ রান

লর্ডসে প্রথম দিন থেকেই চলছে বোলারদের দাপট। বিশেষ করে দুই দলের পেসাররা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন ব্যাটারদের উপর। এর মধ্যেও লড়াই করে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। দুই ইনিংসেই দুইশ রান ছাড়িয়েছে অসিরা। এতে লর্ডসের কন্ডিশন বিবেচনায় বড় লক্ষ্যই ছুড়ে দিল অস্ট্রেলিয়া।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১২ রান সংগ্রহ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ৭৪ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসেও ২০৭ রান করেছে অসিরা। ফলে দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ালো ২৮২ রান।
স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে, এই রান হয়তোবা খুব বেশি নয়। কিন্তু লর্ডসের আচরণে এটিই অনেক বড় লক্ষ্য। অন্তত টেম্বা বাভুমার দলের প্রথম ইনিংসও সে কথাই বলছে। প্রোটিয়াদের জন্য এটিই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
বারবার সেমিফাইনালের জুজু কাটিয়ে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তবুও নিজেদের ‘চোকার্স’ নাম ঘোচাতে পারেনি প্রোটিয়ারা। আবারো প্রথম ট্রফি জয়ের সুযোগ এসেছে তাদের। সেজন্য অবশ্য তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মিচেল স্টার্ক আর নাথান লায়ন। তবে দিনের শুরুতেই হতাশ হতে হয় অসিদের। এদিন মাত্র ১ রান করেই বিদায় নেন লায়ন (২)।
সেই হতাশা অবশ্য বাড়তে দেননি লেজের দিকের দুই ব্যাটার স্টার্ক আর জস হ্যাজেলউড। দশম ব্যাটার হিসেবে উইকেটে এসে স্টার্ককে যোগ্য সঙ্গ দেন তিনি। দুজনে মিলে দশম উইকেটে গড়ে তুলেন ১৩৫ বলে ৫৯ রানের জুটি।
আগের দিন ১৬ রানে অপরাজিত থাকা স্টার্ক এদিন তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। ১৫৩ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। দুজন মিলে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এইডেন মার্করামের বলে হ্যাজেলউড কেশভ মাহারাজকে ক্যাচ দিলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর আম্পায়ার মধ্যাহ্ন বিরতির ঘোষণা দেন।