রানাকে ভোলেননি হোয়াটমোর

খুলনায় গেলেই যেন প্রয়াত ক্রিকেটার মানজারুল ইসলাম রানার স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন ডেভ হোয়াটমোর। প্রিয় শিষ্য ছিলেন বলেই হয়তো। অকালে ঝরে যাওয়া এই প্রতিভাবান ক্রিকেটার যে বর্তমান জিম্বাবুয়ে কোচের হাত ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশ করেছিলেন। হোয়াটমোর তখন ছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ।
হোয়াটমোরের অধীনেই ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ওয়ানেতে অভিষেক হয়েছিল রানার। তার চার বছর পর ২০০৭ সালে ১৬ মার্চ মাত্র ২৩ বছর বয়সে খুলনার ডুমুরিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন রানা।
প্রিয় শিষ্যের এই মৃত্যু কখনই ভুলতে পারেননি হোয়াটমোর। তাই খুলনায় গেলে রানার বাড়িতে যাওয়া চাই তাঁর। এবারও গেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম সংলগ্ন রানার বাড়িতে চলে যান তিনি।
রানার মা জামিলা খাতুনের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। সন্তান হারানো মাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন, করেছেন স্মৃতিচারণাও। আর রানার বাড়িতে ঘুরে ঘুরে দেখেছেন বিভিন্ন সময়ে পাওয়া পুরস্কারগুলো। দাঁড়িয়ে পুরস্কারগুলো দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন, রানার ছবি হাতে নিয়েও দেখেন তিনি।
প্রিয় শিষ্যকে যে হোয়াটমোর এখনো ভোলেননি তা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কথায়ও, ‘খুলনায় এলাম অথচ রানার বাড়িতে গেলাম না, তা কী হয়? আসলে রানার মত্যুটা আর সবার মতো আমার কাছেও বড় বেদনার। পরপারে ভালো থাকুক সে, এই কামনাই করি।’
এর আগে ২০১৪ সালের নভেম্বরেও একবার হোয়াটমোর রানার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখন তিনি অবশ্য জিম্বাবুয়ে দলের কোচ ছিলেন না, ধারাভাষ্যকার হয়ে এসেছিলেন। অতিথি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তখন সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলছিল বাংলাদেশ। এবার দ্বিতীয়বারের মতো রানার বাড়িতে গেলেন বর্তমান জিম্বাবুয়ের কোচ।