‘দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপে’ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। বলা যেতে পারে, প্রতিযোগিতাটা এই অঞ্চলের ‘বিশ্বকাপ’। বাংলাদেশের অবশ্য ‘দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপে’ অভিজ্ঞতা তেমন মধুর নয়। আগের ১০টি আসরে লাল-সবুজের দল শিরোপা জিততে পেরেছিল একবারই—২০০৩ সালে ঘরের মাঠে। গতবার তো বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। এবার তাই বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। তবে বাংলাদেশ দল দারুণ আত্মবিশ্বাসী।
বুধবার থেকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ত্রিবান্দ্রামে শুরু হতে যাওয়া একাদশ আসরে স্বাগতিকরাই ফেভারিট। গতবারের চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান আর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ফুটবল-শক্তি মালদ্বীপকেও শিরোপা-লড়াইয়ে এগিয়ে রাখছেন অনেক ফুটবল-বোদ্ধা।
এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের গ্রুপ-সঙ্গীও আফগানিস্তান-মালদ্বীপ। ‘বি’ গ্রুপে এই তিন দলের সঙ্গে আছে ভুটান। পাকিস্তান সরে দাঁড়ানোয় ‘এ’ গ্রুপ গড়ে উঠেছে ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে। ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ২৬ ডিসেম্বর মালদ্বীপ আর ২৮ ডিসেম্বর ভুটানের বিপক্ষে খেলবেন মামুনুলরা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপদের নিয়ে দুটো সেমিফাইনালই হবে ৩১ ডিসেম্বর। ফাইনাল ৩ জানুয়ারি।
প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে। চোটের কারণে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি। কোচ মারুফুল হক অবশ্য সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী। গত মাসে জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপই তাঁর প্রথম ‘অ্যাসাইনমেন্ট’। ভারতের পথে শিষ্যদের নিয়ে রওনা হওয়ার আগে শুরুটা রাঙিয়ে রাখার প্রত্যয় ধ্বনিত হয়েছে মারুফুলের কণ্ঠে।
আফগানিস্তান সম্পর্কে বাংলাদেশ কোচের মূল্যায়ন, ‘আফগানিস্তান নিঃসন্দেহে ভালো দল। তারাই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। আমরা তাদের শক্তি-দুর্বলতা সব কিছুই বিশ্লেষণ করেছি। আমরা প্রথম ম্যাচ জিততে চাই।’ মালদ্বীপকেও হারানোর প্রত্যাশা মারুফুলের, ‘আমি মালদ্বীপের খেলা দেখেছি। তাদের দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। তবে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আমাদের পক্ষে তাদের হারানো সম্ভব।’
কোচের প্রাথমিক লক্ষ্য সেমিফাইনাল হলেও অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছেন। বাংলাদেশের সেরা মিডফিল্ডার বর্তমান দলকে সবার স্মৃতিতে উজ্জ্বল করে রাখতে প্রত্যয়ী, ‘আমাদের লক্ষ্য প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়। আমরা এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’
বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে সর্বশেষ ম্যাচটি। গত ১৭ ডিসেম্বর সাফের প্রস্তুতি ম্যাচে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল মারুফুলের শিষ্যরা।