রিয়াল মাদ্রিদের রেকর্ডগড়া জয়

সময়টা ভালো যাচ্ছিল না রিয়াল মাদ্রিদের। লা লিগায় টানা দুটি ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই আরো বড় হোঁচট খেতে হয়েছে ইউরোপের সফলতম এই ক্লাবকে। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত খেলোয়াড়কে মাঠে নামানোর দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে কোপা দেল রে থেকে। দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার জন্য যেন মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন রিয়ালের খেলোয়াড়রা। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে পাওয়া গেল তেমনই প্রমাণ। সুইডেনের ক্লাব মালমোর বিপক্ষে গোল উৎসবে মেতে উঠে দলকে রেকর্ডগড়া জয় এনে দিয়েছেন বেনজেমা-রোনালদো।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মালমোকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল। চারটি গোল করেছেন রোনালদো। হ্যাটট্রিক করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। বিশাল ব্যবধানের এই জয় দিয়ে একটি রেকর্ডও স্পর্শ করেছে রিয়াল।
২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ের রেকর্ড গড়েছিল লিভারপুল। ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বেসিকটাসকে। মঙ্গলবার সেই রেকর্ড স্পর্শ করে ফেলেছে রিয়াল। মজার ব্যাপার হলো, ২০০৭ সালে সেই রেকর্ডগড়া ম্যাচেও লিভারপুলের কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন রিয়ালের বর্তমান কোচ রাফায়েল বেনিতেজ।
চার গোল করে নতুন রেকর্ড গড়েছেন ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার রোনালদোও। নিজের রেকর্ডই আবার গড়েছেন নতুন করে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি ১১টি গোল করার রেকর্ড গড়েছিলেন রোনালদো। এবারের মৌসুমের গ্রুপ পর্বে তাঁর গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১৩টি।
ছয় ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে পা রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ‘এ’ গ্রুপ থেকে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনও নিশ্চিত করেছে নকআউট পর্ব। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইংল্যান্ডের শীর্ষ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। মঙ্গলবার নিজেদের শেষ ম্যাচে জার্মানির ভল্ফসবুর্গের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরে ছিটকে পড়েছে ম্যানইউ। তবে তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি চলে গেছে নকআউট পর্বে। মঙ্গলবার তারা ৪-২ গোলে হারিয়েছে বরুশিয়া মনশেনগ্ল্যাডবাখকে। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ম্যানসিটির সঙ্গে জুভেন্টাসও পেয়েছে নকআউট পর্বের টিকেট। ‘সি’ গ্রুপ থেকে পরবর্তী পর্বে খেলবে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বেনফিকা।