শরণার্থীদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি কাঁতোনার

নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে স্বদেশ ছেড়ে ভিন্ন দেশে শরণার্থী হওয়ার কি যন্ত্রণা, তা অজানা থাকার কথা নয় এরিক কাঁতোনার। তাঁর মাতামহ স্পেন থেকে শরণার্থী হয়ে এসেছিলেন ফ্রান্সে। সেই দুঃখবোধ থেকে ফ্রান্সের সাবেক ফুটবল-তারকা দাঁড়াতে চাচ্ছেন শরণার্থীদের পাশে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে ফ্রান্সে আসা শরণার্থীদের অন্তত দুই বছরের জন্য খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, সোমালিয়া থেকে বহু শরণার্থী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে প্রবেশ করছে ইউরোপে। জার্মানি তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও বেশ কিছু দেশের শরণার্থীদের সম্পর্কে কঠোর মনোভাব। ইউরোপের ফুটবলাঙ্গন অবশ্য শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা এসেছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি শীর্ষ ক্লাবের পক্ষ থেকে।
এবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে শরণার্থীদের খাদ্য-বাসস্থানের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছেন কাঁতোনা। ফ্রান্সের একটি রেডিওকে তিনি বলেছেন, ‘মার্সেইয়ের কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আলোচনা করে আমি এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। আপনি যদি যার কাজ করার অধিকার নেই তার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করেন, তাহলে তার খাওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।’
শরণার্থীদের একটা ছোট বাড়ি ও অন্তত দুই বছরের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা কাঁতোনা। তবে কীভাবে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করবেন, তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি।
১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত চলা স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের সময় স্পেন থেকে ফ্রান্সে পালিয়ে যেতে হয়েছিল কাঁতোনার মাতামহকে। পূর্ব-পুরুষের দুঃসহ স্মৃতি আজো যেন তাড়িয়ে বেড়ায় তাঁকে। বর্তমান শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াতে সেটাই উদ্বুদ্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন কাঁতোনা, ‘আমার মাতামহরা ছিলেন স্প্যানিশ রিপাবলিকান। স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ চলার সময় ফ্রাঙ্কোর দুঃশাসনে অতীষ্ঠ হয়ে তাঁরা হেঁটে পিরেনে পর্বত পাড়ি দিয়ে ফ্রান্সে এসেছিলেন। এটাই আমাদের পরিবারের গল্প, যা আমার বর্তমান উদ্যোগের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।’