ফেল্পসের স্বরূপে ফেরার ইঙ্গিত

দিনকাল একদমই ভালো যাচ্ছিল না মাইকেল ফেল্পসের। অবসর ভেঙে গত বছর পুলে ফিরলেও ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে হচ্ছিল ইতিহাসগড়া এই সাঁতারুকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় আবার ঝড় তুলেছেন তিনি। স্যান অ্যান্টনিওতে টানা তিনদিনে জিতে নিয়েছেন তিনটি শিরোপা।
আগের দুইদিন জিতেছিলেন ১০০ ও ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ের শিরোপা। রোববার রাতে ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতেও সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন অলিম্পিকে রেকর্ড ১৮টি সোনাজয়ী ফেল্পস। সেটাও বছরের সেরা টাইমিং করে। প্রথম তিন ল্যাপ তো বিশ্ব রেকর্ডের চেয়ে কম সময়েই শেষ করেছিলেন। শেষ ল্যাপ অর্থাৎ ফ্রিস্টাইলে অবশ্য সেই গতি ধরে রাখতে পারেননি। তবু এক মিনিট ৫৪.৭৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী রায়ান লক্টিকে একটা লড়াইয়ে হারিয়ে দিয়েছেন ফেল্পস। কয়েক দিন আগে রাশিয়ার কাজানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে লক্টি ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের শিরোপা জিতেছেন এক মিনিট ৫৫.৮১ সেকেন্ডে।
এই ইভেন্টের বিশ্ব রেকর্ড অবশ্য লক্টির দখলে, ২০১১ সালে এক মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে ফিনিশিং লাইন ছোঁয়ার সুবাদে। তবে বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার সুযোগ নষ্ট করলেও ফেল্পস একটুও অখুশি নন। সর্বকালের সফলতম অলিম্পিয়ান বরং এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত, ‘আমি দারুণ খুশি। এই প্রতিযোগিতায় যা করেছি তাতে আমি তৃপ্ত। এভাবে ফিরতে পারা দারুণ ব্যাপার।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অপরাধে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ফেল্পস। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাঁতারে ফিরলেও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি ‘পুলের রাজা’। এ বছরের এপ্রিলে অ্যারিজোনার মেসা প্রো সুইম সিরিজে অংশ নিলেও ২০০ ও ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে সাফল্য পাননি। জয় পেয়েছিলেন শুধু ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে।
২০০৪, ২০০৮ ও ২০১২ অলিম্পিক থেকে ১৮টি সোনা জিতে নেওয়া ফেল্পসের দৃষ্টি আগামী বছরের রিও অলিম্পিকে। সেজন্য জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী এই মার্কিন তারকা। ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে জ্বলে ওঠার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি নিজের সেরা টাইমিং করতে চাই। সেটা হবে দারুণ ব্যাপার। ২০০৯ সালের পর আমি নিজের সেরা টাইমিং করতে পারিনি। আগামী বছর (অলিম্পিকে) আমি সেটাই করার চেষ্টা করব।’