মূত্রতন্ত্রে পাথর হওয়ার কারণ কী

মূত্রতন্ত্রে পাথর বিভিন্ন কারণে হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৩৮৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এন আই ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি স্কয়ার হাসপাতালের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : মূত্রতন্ত্রের পাথর আসলে কী?
উত্তর : মূত্রতন্ত্রের পাথর জানার আগে মূত্রতন্ত্র সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা দরকার। আমাদের প্রত্যেক মানুষেরই দুটো করে কিডনি থাকে। কিডনির সঙ্গে কিডনির নালি থাকে। এই নালি থেকে প্রস্রাব গিয়ে প্রস্রাবের থলিতে জমা হয়। এর পর প্রস্রাবের নালি দিয়ে বের হয়। তাহলে এককথায় আমরা বলতে পারি যে কিডনি, কিডনির নালি, প্রস্রাবের থলি ও প্রস্রাবের রাস্তা—এই পুরো জায়গাকে একসঙ্গে মূত্রতন্ত্র বলা হয়। মূত্রতন্ত্রের যেকোনো জায়গায় পাথর থাকতে পারে। পাথর তৈরি হয় কিডনির ভেতর। সেটা সেখানে থেকে গিয়ে আস্তে আস্তে বড় হতে পারে অথবা ছোট অবস্থাতেই নিচে নামতে পারে। কিডনির নিচে নামতে গিয়ে নালিতে যেকোনো জায়গায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ওইখানে প্রদাহ তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া প্রস্রাবের থলিতে চলে এসে সেখানেও বড় হতে পারে। এ সময় উপসর্গগুলো দেখা দিলে মানুষ চিকিৎসকের কাছে যায়।
প্রশ্ন : মূত্রতন্ত্রে পাথর হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : মূত্রতন্ত্রে পাথর হওয়ার জন্য একটি কারণকে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। অনেক কারণ আছে, তার মধ্যে একেকজনের ক্ষেত্রে একেকটি ঘটে। যেমন : খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণ হতে পারে। আবহাওয়াজনিত কারণ হতে পারে। এর পর ভিটামিন-এ’র অভাবে হতে পারে। ভিটামিন-এ’র অভাবে কিডনির ভেতরে একটি আবরণ আছে, সেটি খসে যায়। সেখানে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূত্র থেকে স্ফটিক তৈরি হয়ে, এর পর পাথর তৈরি হতে পারে।
এ ছাড়া কিডনি, কিডনি নালি অথবা প্রস্রাবে যদি বারবার সংক্রমণ হয়, একটি জীবাণু দিয়ে, তখনো সমস্যা হতে পারে। সেই জীবাণু দিয়ে সংক্রমণ তৈরি হলেও সেখান থেকে ইনফেকশন হতে পারে। আরেকটি বড় কারণ আছে, সেটি হলো জন্মগত ত্রুটি। কিডনির নালি, প্রস্রাবের থলি—কোথাও যদি জন্মগত ত্রুটি থাকে, কিডনি থেকে যে প্রস্রাব তৈরি হয়, সেটা যদি নালি দিয়ে বের হতে না পারে, কোথাও আটকা পড়ে থাকে, সেখান থেকেও পাথরের সৃষ্টি হতে পারে।