ল্যাপারোস্কোপি কাদের বেলায় করা যায়

ল্যাপারেস্কোপি আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে অন্যতম। ল্যাপারোস্কোপি কাদের বেলায় করা যায় এই বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের ২৩৬৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. শারমিন আব্বাসি। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : ল্যাপারোস্কোপি কাদের বেলায় করা যাবে না। এমন কোনো বিষয় কী আছে?
উত্তর : যদি আগে অনেক সার্জারি থাকে, তাহলে হয়তো সাবধান হতে হবে। করা একদমই যাবে না- এমন খুব কম বলা আছে। আপনি জানেন, তার হয়তো এর আগে দুই থেকে তিনবার অস্ত্রোপচার হয়েছে- সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। অথবা তার হয়তো কার্ডিয়াক সমস্যা আছে, অথবা শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা আছে তাহলে সতর্ক হতে হবে। কারণ, এটি তো সাধারণ এনেসথেসিয়া দিয়ে করতে হয়। তাই যে রোগীর হয়তো জেনারেল এনেসথেসিয়া দেওয়া যাচ্ছে না। তার ক্ষেত্রে হয়তো, তার ক্ষেত্রে এটা অনেক সময় ঝামেলাপূর্ণ হতে পারে। সার্জনরা সাধারণত বলে না এটা একদম করা যাবে না। আমরা শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা করি। যেহেতু এই বিষয়টি দিয়ে রোগীকে আমরা বেশি সুবিধা দিতে পারছি, এই জন্য আমরা চেষ্টা করি সব রোগীকে সন্তুষ্ট করার জন্য। তবে আগে যদি অনেক অস্ত্রোপচার থাকে, চারটা পাঁচটা সিজার থাকে বা তার হয়তো অন্য কোনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এসে পেটের এমন একটি জায়গায় লেগে আছে যে আমি ফুটো করে ঢুকব সেই সময় দেখা গেল সেই জায়গাটায় কোনো সমস্যা দেখা গেল। সেই ক্ষেত্রে ছোটখাটো সময় আমরা হয়তো এটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এ ছাড়া সব ক্ষেত্রেই করা যাচ্ছে।
প্রশ্ন : ল্যাপারোস্কোপির কি কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
উত্তর : খুব কঠিন যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় রোগীদের সেটি কিন্তু নয়। যেটা সমস্যা হতে পারে, সেই ক্ষেত্রে হয়তো সময় একটু বেশি লাগল, গ্যাস একটু বেশি গেল এমন। অস্ত্রোপচারের পর অধিকাংশ রোগী যেই অভিযোগ করে সেটি হলো কাঁধে ব্যথা। একটা সাধারণ ওষুধ দিলে এটা চলে যায়। অনেক সময় বইপত্র বলে যে- পেটে হয়তো ঢুকালেন মেশিনটি, গাট ফুটো হয়ে যেতে পারে। তবে অভিজ্ঞ সার্জনদের বেলায় এটার আশঙ্কা কম। আর রক্তপাত যেন কম হয় সেজন্যই তো আমরা অস্ত্রোপচারটা করি। সেটার আশঙ্কা কম। বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে সব অস্ত্রোপচারই করা যাচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় হয়তো আপনি পরিবার পূর্ণ মনে করে লাইগেশন করেছেন। এখন দ্বিতীয়বার বিয়ে হয়েছে, আপনার মত পাল্টেছে, তখন ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে লাইগেশন খুলে দেওয়া হয়। ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে টিউবোপ্লাস্টি করা যাচ্ছে। বন্ধ্যাত্বের সাথে এট্রপিক গর্ভাবস্থার একটি ভালো সম্পর্ক আছে। সেইক্ষেত্রে কিন্তু ল্যাপারোস্কোপির ভালো ফল রয়েছে।