সুস্মিতার প্রেমে মজেছেন সৃজিত, মিথিলা অধ্যায় কী তাহলে অতীত?

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন টালিউড পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে। কিছুদিন আগেও দুজনকে নানা অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যেত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছুটির দিনের ছবিও ভেসে উঠত। কিন্তু বহুদিন হলো—সব চুপচাপ। নেই একসঙ্গে ছবি, নেই একফ্রেমে দেখা। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, মিথিলা-সৃজিতের সংসারে নাকি এখন জমে আছে কুয়াশা!
এই ফাঁকে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এলেন আরেকজন—অভিনেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। বয়সে নবীন, টলিপাড়ায় নতুন। আর হঠাৎ করেই তাঁকে ঘিরে চলছে গুঞ্জনের ঝড়—পরিচালক সৃজিত কি নতুন করে প্রেমে পড়েছেন?
ঘটনার সূত্রপাত সৃজিতের নতুন সিনেমা ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ঘিরে। এই সিনেমাতে নায়িকা সুস্মিতা, আর শুটিং হয়েছে সমুদ্রপাড়ের শহর পুরীতে। শুটিংয়ের ফাঁকে সুস্মিতা একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যায় তিনি আর সৃজিত হাতে হাত রেখে সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে। ক্যামেরার পেছনে কেউ নেই—ছবিটা যেন নিজেরাই বলে দিচ্ছে কিছু।
ছবির পর গুঞ্জন, গুঞ্জনের পর প্রিমিয়ার। গত শুক্রবার জয়া আহসানের ‘ডিয়ার মা’ সিনেমার প্রিমিয়ারে হাজির হন সৃজিত ও সুস্মিতা—হাতে হাত ধরে, একদম বলিউডি ভঙ্গিতে। দুজনের চোখেমুখে লুকোনো নয়, বরং খানিকটা যেন জানানোর ইচ্ছেই স্পষ্ট। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিলেন পাশাপাশি, ক্যামেরা যতই ক্লিক করুক—হাত ছাড়েননি কেউই।
প্রশ্ন করা হলে সৃজিত দৃষ্টিটা ঘুরিয়ে দেন সুস্মিতার দিকে—‘তুমি বলো না?’ হাসিমুখে সুস্মিতার জবাব, ‘আমরা খুব ভালো বন্ধু। কয়েক দিনের মধ্যেই অনেক কাছের হয়ে গেছি। কে কী বলছে, তাতে আমি কিছু বলতে চাই না।’
বন্ধুত্ব? নাকি বন্ধুত্বের মোড়কে নতুন কোনো সম্পর্কের শুরু? সৃজিতের ভাষায়, ‘মেন্টর’ বলাটা বেশি হয়ে যায়। আমরা একসঙ্গে গান শুনি, সিনেমা দেখি, সে আমাকে সুশি খাওয়ায়, আমি চাইনিজে উৎসাহ দিই!’
সুস্মিতা বলেন, ‘একটা বন্ধুত্ব যদি আমাকে সমৃদ্ধ করে, সেটা লুকানোর কী আছে? লুকানোর কিছু থাকলে কি এভাবে একসঙ্গে ঘুরি?’
এই প্রথম নয়—সৃজিতের সঙ্গে অতীতেও নাম জড়িয়েছে স্বস্তিকা মুখার্জি, ঋতাভরী চক্রবর্তীসহ একাধিক নায়িকার। সম্পর্ক টেকেনি, কিন্তু সম্পর্কগুলো আজও ‘শান্তিপূর্ণ’।
তবে এবার গল্পটা যেন একটু অন্যরকম। কারণ এই গল্পের নায়িকা শুধু নতুন নন, বরং তিনি পরিচালকের হাত ধরে হাঁটছেন একেবারে ক্যামেরার সামনে।
এদিকে মিথিলা নীরব। তিনি বাংলাদেশে, সৃজিত কলকাতায়। মাঝখানের দূরত্বটা কি কেবল ভৌগোলিক? নাকি সম্পর্কও হাঁটছে শেষ অধ্যায়ের দিকে?