শিল্পকলায় আজ ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ফোর্থ ওয়াল থিয়েটারের নাটক

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে উপজীব্য করে মঞ্চে একাধিক নতুন নাটকের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আজ শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে প্রদর্শিত হবে ফোর্থ ওয়াল থিয়েটার নাট্যদলের নাটক ‘৪০৪: নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি’।
ফোর্থ ওয়াল থিয়েটারের প্রযোজনায় সকলের জন্য উন্মুক্ত নাট্য প্রদর্শনীটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মো. লাহুল মিয়া এবং নাট্যপরিকল্পনায় আব্দুল মুনিম তরফদার।
একাডেমি সূত্র জানায়, ডিস্টোপিয়ান শৈলীতে নির্মিত নাটকটি একটি স্বৈরশাসিত রাষ্ট্রে ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় প্রপাগান্ডা, দমন-পীড়ন এবং নাগরিক প্রতিরোধের এক কাব্যিক ভাষ্য। যেখানে স্বাধীনতা হয়ে ওঠে পণ্য, কবিতা হয় রাষ্ট্রদ্রোহ, আর শিশুদের রং হয় বিপ্লবের প্রতীক।
নাটকের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এক শিক্ষক, এক শিশু এবং এক মায়ের আর্তি- যেখান থেকে জন্ম নেয় নতুন সম্ভাবনার আলো। ‘৪০৪: নাম খুঁজে পাওয়া যায় নি’ তাই শুধু একটি নাটক নয়- এটি রাষ্ট্র ও নাগরিকের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের এক মঞ্চ ভাষ্য।
প্রযোজনাটি সম্পর্কে আব্দুল মুনিম তরফদার বলেন, ‘আমরা এই প্রযোজনায় ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ এই বার্তার মধ্য দিয়ে সমকালীন বিশৃঙ্খলা ও ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে চেয়েছি। ব্রেখটের এলিয়েনেশন ইফেক্ট বা বিচ্ছিন্নকরণ কৌশলের অনুশীলন দর্শকের আবেগ নয়, যুক্তি ও দায়বদ্ধতাকে আহ্বান জানায়। একইসঙ্গে পিটার হ্যান্ডকের অফেন্ডিং দ্য অডিয়েন্স নাটকের সংলাপের অংশবিশেষের সুনির্দিষ্ট সংযোজন নাটকের কাঠামোয় একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যেখানে দর্শক নিজেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে পড়ে- সে এই যাত্রার দর্শক, না অংশগ্রহণকারী?’
৪০৪: নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আব্দুল মুনিম তরফদার, এঞ্জেলিনা পিয়ানা রোজারিও, এ এইচ এম সাহেদুল আলম, ফারিহা তাসনীম হৃদি, হাদী আকাশ, শেখ সায়েম হোসেন, রাইসুল ইসলাম রোমান, তাসনোভা সানজিদা, ইসরাত মীম, মো. মাহাবুব আলম হৃদয় ও জান্নাতুল ফেরদৌস তোয়া। সহকারী নির্দেশক, সংগীত পরিকল্পনা, পোস্টার ও প্রচারে রয়েছেন মো. মনিরুজ্জামান, প্রোডাকশন ম্যানেজার ও প্রপসে মোহাইমিন দ্বীপু, মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনায় সৈয়দ মো. যুবায়ের।