বক্স অফিসে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থের’ দাপট

হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’। ১৯৯৩ সালে ‘জুরাসিক পার্ক’ মুক্তির মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু। ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ সিনেমাটি এই সিরিজের ছয় নম্বর সিনেমা। গত ৪ জুলাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে এটি মুক্তি পেয়েছে।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন গ্যারেথ এডওয়ার্ডস। এই সিনেমাটি ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডোমিনিয়ন’ চলচ্চিত্রের একটি স্বতন্ত্র সিক্যুয়েল।
এতে অভিনয় করেছেন স্কারলেট জোহানসন, মাহেরশালা আলী এবং জোনাথন বেইলি। এ গল্পের পটভূমিতে ডাইনোসর ক্লান্তি থাকলেও দর্শকদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একদমই প্রযোজ্য হয়নি। বরং বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে দারুণ দাপট দেখিয়েছে সিনেমাটি।
গতকাল রোববার (৬ জুলাই) স্টুডিও থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত ৩১৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে সিনেমাটি। এটি মুক্তি পেয়েছিল গত বুধবার।
আন্তর্জাতিক বাজারে চীনসহ ৮২টি দেশে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রথম পাঁচ দিনে আয় ১৭১ মিলিয়ন ডলার। শুধু চীনেই আয় হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। সেখানে সিনেমাটি ৬৫ হাজার পর্দায় চলেছে, যার ৭৬০টি ছিল আইম্যাক্স স্ক্রিন। এটিই চলতি বছরে চীনে সবচেয়ে বড় ‘মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশন’ (এমপিএ) মুক্তির রেকর্ড গড়েছে।
এদিকে, উত্তর আমেরিকার ৪ হাজার ৩০৮টি প্রেক্ষাগৃহে পাঁচ দিনে সিনেমাটির আয় ১৪৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তিন দিনের ‘সাপ্তাহিক ছুটি’ (শুক্রবারের স্বাধীনতা দিবসের ছুটি, শনিবার ও রবিবারের সম্ভাব্য বিক্রির হিসাব) মিলিয়ে আয় ৯১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার।
১৮০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ইউনিভার্সেল পিকচার্সের এই সিনেমা এরই মধ্যে দর্শকদের বিশেষ আগ্রহ তৈরি করেছে। সিনেমার প্রধান চরিত্রে আছেন স্কারলেট জোহানসন। তার সঙ্গে আরও আছেন মাহেরশালা আলী ও জোনাথন বেইলি।
জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থে মূল চরিত্রদের যুক্ত করা হয়েছে। সঙ্গে ফিরেছেন জুরাসিক পার্কের চিত্রনাট্যকার ডেভিড কোয়েপ, যিনি গল্প এগিয়ে নিয়েছেন ডাইনোসরের ডিএনএ নিয়ে এক ভয়ংকর শিকার অভিযানের দিকে—যেখানে এবার ডাইনোসর বানানো নয়, বরং হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য ডিএনএ সংগ্রহই মূল লক্ষ্য।
ইউনিভার্সালের ঘরোয়া পরিবেশনা প্রধান জিম ওর বলেন, ‘এটা সত্যিই দারুণ সাফল্য। গ্রীষ্মকালে দর্শক ঠিক এমনই কিছু চায়—বড়, মজার আর অসাধারণভাবে নির্মিত অ্যাডভেঞ্চার।’
সিনেমাটি সমালোচকদের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। রটেন টমেটোজে সিনেমার স্কোর ৫১ শতাংশ, আর প্রথম সপ্তাহের দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছে ‘বি’ গ্রেডের সিনেমাস্কোর।
তবে স্টুডিও বলছে, বয়স ৮ থেকে ৮০—সব বয়সী দর্শক সিনেমাটি দেখতে এসেছেন। সমালোচনা সত্ত্বেও প্রত্যাশার চেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আয় বেশি হয়েছে।