‘তাণ্ডব’ থেকে ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ : অভিনয়ে বাজিমাত ইভনের

একদিকে মোশাররফ করিম, অন্যদিকে তাণ্ডবের বিশাল ক্যানভাস। মাঝখানে এক নতুন মুখ—তবু মনে থেকে যাচ্ছে ঠিকই। নাম রাকিব হোসেন ইভন। ওটিটি থেকে সিনেমা; সবখানেই নিজের অভিনয় দিয়ে আলাদা করে নজর কাড়ছেন তিনি।
অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল মঞ্চ দিয়ে। সেই থিয়েটারের মাটি থেকেই একদিন এসে দাঁড়ান পর্দার দুই দুর্দান্ত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও ফজলুর রহমান বাবুর পাশে—অনম বিশ্বাসের সিরিজ ‘দুই দিনের দুনিয়া’য়। সেখানে তার সংযত, দৃঢ় অথচ মাটি-ছোঁয়া পারফরম্যান্স প্রথমবারের মতো বুঝিয়ে দেয়, এই ছেলে একদিন বড় কিছু করবে।
পরের কাজ ‘অগোচরা’। লেখক-পরিচালক সিদ্দিক আহমেদের গ্যাংস্টার ঘরানার এই সিরিজে আরও আত্মবিশ্বাসী ও পরিণত এক ইভনকে আবিষ্কার করে দর্শক।
এরপর আসে সেই মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া চরিত্র—অমিতাভ রেজার ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’য় মোশাররফ করিমের পাশে শাগরেদ সেলিম। ক্যামেরার সামনে এ যেন দুই প্রজন্মের এক অনবদ্য যুগলবন্দি। সিরিজটি নিয়ে যেমন প্রশংসা, তেমনই ইভনের অভিনয় ঘিরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় আলোচনা।

এবারের ঈদে সেই প্রশংসার জায়গা আরও বড় হয়। রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় একটি রহস্যময় চরিত্রে ধরা দেন ইভন। মুক্তির আগে কেউ বুঝতেই পারছিল না, সিনেমাতে তার অবস্থান কী! কিন্তু হলে গিয়ে দর্শক চমকে যান—এই তো সেই ছেলেটা! আবারও প্রশংসায় ভেসে যান ইভন।
ইভন এখন ওটিটি আর বড় পর্দা দুই জায়গাতেই নিয়মিত। কাজ করেছেন ‘নিকষ’, ‘কোহেলিকা’, ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’র মতো সিরিজে। আর সিনেমায় পেয়েছেন লিড কাস্ট হিসেবে সুযোগ ‘ইতি চিত্রা’, ‘একটি না বলা গল্প’, ‘মেঘের কপাট’, অপেক্ষমাণ ‘চারুলতা’ ও ‘নাদান’।
নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বললেন সোজাসাপটা, ‘এই ইন্ডাস্ট্রিতে যখন এসেছি, তখন এখানে আমার কেউ ছিল না। আমি এ অভিনয়টা বুঝি, এটাই করে যেতে চাই। এটাই আমার স্বপ্ন।’
একটা কথা এখন জোর দিয়েই বলা যায়—ইভনের স্বপ্নটা কেবল শুরু হয়েছে। আর তার প্রতিটি দৃশ্যেই ফুটে উঠছে এক সত্য—এই অভিনয়টা তার ভেতরেই জন্ম নেয়।