একটি ছবি। তাতে পরনে গামছা, পেছনে গাছ, সামনে ক্লান্ত মুখে বসে থাকা একজন মানুষ। মুহূর্তেই তা ভাইরাল—‘সমু চৌধুরী মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন!’ এমন গুজব ছড়াতে সময় লাগেনি।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে গফরগাঁওয়ের এক মাজারে অভিনেতা সমুর অবস্থান ঘিরে শুরু হয় জল্পনা। বিভ্রান্তিকর পোস্ট ও ছবির চাপে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ায় উদ্বেগ। ভক্ত, সহকর্মীদের মনে দানা বাঁধে দুশ্চিন্তা—এই গুণী অভিনেতার কী হলো হঠাৎ?

দিন শেষে স্পষ্ট হয়, ঘটনাটি ছিল এক অপভ্রান্তি। সমু চৌধুরী নিজেই জানান, নিয়মিতই দেশের বিভিন্ন মাজারে যান তিনি। এবারও গফরগাঁওয়ের ওই মাজারে গিয়েছিলেন। অতিরিক্ত কাপড় না থাকায় সকালে নিজের জামা-কাপড় ধুয়ে গামছা পরে গাবগাছের নিচে বিশ্রাম করছিলেন। ঠিক তখনই কেউ চুপিচুপি তুলে নেয় কিছু ছবি—আর সেই ছবিই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রূপ নেয় বিভ্রান্তির বিস্ফোরণে।

খবর পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় অভিনয়শিল্পী সংঘ। স্থানীয় এক সহকর্মীকে পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। পরে সংগঠনের নেতা সুজাত শিমুল ও জুলফিকার চঞ্চল পৌঁছান সেখানে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নিশ্চিত করা হয় সমুর সুস্থতা ও নিরাপত্তা।

রাত পেরিয়ে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকায় ফেরেন সমু চৌধুরী। ভক্তদের মুখে ফেরে হাঁফছাড়া স্বস্তির নিঃশ্বাস। তবে ঢাকায় এসেই সমু নেন আরও এক আবেগঘন সিদ্ধান্ত—ফিরে যান যশোরে, মায়ের কাছে।

দীর্ঘদিন পর মায়ের কোলে ফিরে যেন সব ক্লান্তি, গুজব আর গুঞ্জনের ভার এক নিমিষেই মিলিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে যশোরে পৌঁছানোর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিনয়শিল্পী সংঘ জানায়, ‘একজন শিল্পীকে নিয়ে এমন বিভ্রান্তি দুঃখজনক ও বিব্রতকর। ভবিষ্যতে গুজব না ছড়াতে গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষকে দায়িত্বশীল হওয়ার অনুরোধ জানাই।’