এফডিসিতে উৎসবের আমেজ

এফডিসিতে এখন উৎসবের আমেজ, পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে সব জায়গা, চলছে প্রার্থীদের শেষদিনের প্রচারণা। না কোনো চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের দৃশ্য নয়, এটি চলচ্চিত্র সহকারী পরিচালকদের নির্বাচন। আগামীকাল ১৫ মে শুক্রবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে মুখোমুখি হবে এসআই ফারুক-মনির পরিষদ ও মো. মহসিন-আলমগীর রতন পরিষদ।
নির্বাচন কমিশনার সোহানুর রহমান সোহান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ যাঁরা সহকারী পরিচালক তাঁরা আগামীদিনের পরিচালক। আমিও এক সময় এই সমিতির সদস্য ছিলাম। এখন সিনেমার দিন পরিবর্তন হচ্ছে- আমার আশা থাকবে তাঁরা এই নতুন দিনের জন্য নিজেদের তৈরি করবেন। পরিচালক সমিতি থেকে তাঁদের জন্য সব সময় সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
এস আই ফারুক (সভাপতি) ও কাজী মনির (সাধারণ সম্পাদক) পরিষদ থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন— এ কে এম জাহিদ হাসান এ্যাপালো (সহ-সভাপতি), গাজী নুর আলম (যুগ্ম সম্পাদক), সাইদুল ইসলাম সাদ্দাম (কোষাধ্যক্ষ), এস এম সোহেল খান (সাংগঠনিক ও নিরাপত্তা) এবং শাকিল আহম্মেদ চৌধুরী (প্রচার, দপ্তর ও সাংস্কৃতিক)। কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন— একরামুল ইসলাম একরাম, সরোয়ার তমিজ উদ্দিন, এ কে এম হেদায়েতুল হক বিপ্লব, এফ এ মোহনী মানিক, মোসাদ্দেক রহমান ফাগুন, আবুল কামাল আজাদ, মাজহারুল হক বাবু ও মোস্তাফিজুর রহমান খোকন।
সভাপতি প্রার্থী এস আই ফারুক বলেন, ‘সম্মানিত সদস্যরা আমাকে নির্বাচন করার জন্য চাপ দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে বাধ্য হয়েছি। এর আগে আমি সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমি জানি কত ধরনের দায়িত্ব নিতে হয় এই সমিতির দায়িত্ব নিলে। আর আমাকে সদস্যরা পছন্দ করেন কারণ আমি কোনো কিছু এড়িয়ে যেতে পারি না। সাধারণ সদস্যরাই আমার প্রচারণা চালাচ্ছেন।’
মো. মহসিন (সভাপতি) ও আল মহির রতন (সাধারণ সম্পাদক) পরিষদের হয়ে নির্বাচন করছেন— মোহম্মদ নুমান (সহ-সভাপতি), এ এ মামুন (যুগ্ম সম্পাদক), ডি এম লুৎফর রহমান ( কোষাধ্যক্ষ), জাকির হোসেন সীমান্ত (সাংগঠনিক ও নিরাপত্তা) এবং জগলুল হায়দার শাহিন (প্রচার, দফতর ও সাংস্কৃতিক)। কার্ষনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে আজহার হোসেন, এস এম শহীদুল ইসলাম রুনু, ফারুক আলম পিন্টু, মো. সিদ্দিকুর রহমান রিপন, মো. শাহ আলম সম্রাট, মো. আমিনুল ইসলাম আজাদ ও মো. মিজানুর রহমান মিজান নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
মো. মহসিন বলেন, ‘এর আগে আমি যখন সভাপতি ছিলাম তখন আমি কী কাজ করেছি সেটা সবাই জানেন। গত নির্বাচনে আমি দাঁড়াইনি। কারণ নতুনরা কেমন করেন দেখার ইচ্ছা ছিল। আমি খুবই হতাশ। আর এই সংগঠন আমার প্রাণের সংগঠন- তাই আমি এই বছর নির্বাচন করছি। আশা করি সবাই আমাকে ভোট দেবেন।’
এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২০০ জন।