আমি এখনো সিঙ্গেল : শুভশ্রী

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘প্রেম কি বুঝিনি’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। ছবিটিতে ওমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শুভশ্রী গাঙ্গুলী। ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন আবদুল আজিজ ও সুদীপ্ত সরকার। ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন শুভশ্রী।
এনটিভি অনলাইন : ছবির নাম ‘প্রেম কি বুঝিনি’। ছবিতে প্রেম কি বুঝতে পেয়েছিলেন?
শুভশ্রী : প্রেম এমনই একটা জিনিস, যেটা বোঝা উচিত না। প্রেমের মধ্যে থাকতে গেলে শুধু ফিল করা উচিত। প্রেম যাঁরা এখনো করেননি কিংবা যাঁরা প্রেম করতে চান, তাঁদের আমি বলব ‘প্রেম কি বুঝিনি’ চলচ্চিত্রটি দেখতে। ছবিতে প্রেম আমরা বুঝতে পারিনি বলেই ছবির নাম এমন দেওয়া হয়েছে। ওমও প্রেম বুঝতে পারেনি।
এনটিভি অনলাইন : বাস্তব জীবনে আপনার প্রেমের খবর কী?
শুভশ্রী : আমি এখনো সিঙ্গেল। তবে আমার মনে হয়, আমাদের সকলের মধ্যে প্রেমের ফিলিংস রয়েছে। আমিও এর বাইরে নই।
এনটিভি অনলাইন : ‘প্রেম কি বুঝিনি’ ছবিতে কোনো মেসেজ দর্শক পাবেন কি?
শুভশ্রী : অবশ্যই। যেমন একটা রিলেশনশিপে ইগো রাখা উচিত নয়। ভালোবাসার সম্পর্কে দুটো মানুষের কম্পিটিশন রাখা একদম ঠিক নয়। ছবিটি দেখলে দর্শক এই মেসেজগুলো পাবেন।
এনটিভি অনলাইন : ছবিটিতে অনেক শিশুশিল্পী অভিনয় করেছেন। তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আপনার কেমন ছিল?
শুভশ্রী : যখন পরিচালক শিশুদের নিয়ে একা শুট করছিলেন, তখন তাঁর জন্য এটা অনেক কঠিন ছিল। আমি সব সময় শিশুদের সঙ্গে অনেক কমফোরটেবল। যেভাবেই হোক, ওদের সঙ্গে আমার বোঝাপড়া ভালো। আমি শুটিং করতে গিয়ে ওদের সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করেছি। ওরা যেভাবে চাইত, আমি সেভাবেই শুটিং করেছি। যে কারণে শুট করা অনেক সহজ ছিল। আমি শিশুদের মানসিকতা অনেক ভালো বুঝতে পারি। ছবির একটা দৃশ্য শুটিং করার সময় ডিরেক্টর বাচ্চাদের একদম হ্যান্ডেল করতে পারছিলেন না। তখন তিনি আমাকে ডেকে বলেছিলেন, ‘তুমি এদের হ্যান্ডেল করো, ইউ আর দ্য বস।’ পরে আমি বাচ্চাদের ভালোভাবে ম্যানেজ করে নিয়েছিলাম।
এনটিভি অনলাইন : ছবির ‘বঙ্গ ললনা’ গানটি ইউটিউবে বহুবার দেখা হয়েছে। এ বিষয়ে কিছু বলুন…
শুভশ্রী : গানের লিরিক অসাধারণ ছিল। যখন গানের কথায় মেয়েদের বর্ণনা করা হয়, তখন অবশ্যই আমাদের মেয়েদের অনেক ভালো লাগে। গানটির সংগীতায়োজন, দৃশ্যায়নও দারুণ হয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ চলচ্চিত্রেও আকাশের গাওয়া ‘বাংলাদেশের মেয়ে’ শিরোনামের একটি গানের সঙ্গে আপনি পারফর্ম করেছেন। কেমন লেগেছে আপনার?
শুভশ্রী : অবশ্যই ভালো লেগেছে। ছবিতে আমি বাংলাদেশের মেয়ে থাকি, যে কি না দার্জিলিংয়ে পড়াশোনা করতে যায়। যা হোক, কখনো মনে হয় না আমরা এপার বাংলা ও ওপার বাংলা আলাদা করতে পরি। হ্যাঁ, আমরা আলাদা হয়েছি। কিন্তু মনে মনে কোথায় যেন আমরা সব সময় কানেকটেড। সেই জায়গা থেকে আলাদা ফিল কখনোই হয় না।
এনটিভি অনলাইন : আপনি সব সময় প্রাণখুলে হাসেন। এর পেছনে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কী?
শুভশ্রী : নিজের বংশ থেকে এই হাসিটা রপ্ত করেছি। আমার মা, দিদি দুজনই অনেক জোরে জোরে হাসে। হাসি পেলে ভেতর থেকেই হাসিটা আসে। অনেকে বলে, এত জোরে হেসো না, আস্তে। তখন সত্যি আমার বুকে একটা কষ্ট হয়। মনে হয়, হাসিটা কোথায় যেন চেপে গেছে। চোখ দিয়ে জল পড়ে যায়।