২০০ ছবিতে অভিনয় করেছি : কাজী হায়াৎ

পরিচালনার পাশাপাশি কাজী হায়াৎ অজস্র ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু আগে কখনো কাজ করেননি আরেক বিখ্যাত পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ছবিতে। ‘এপার ওপার’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথম তিনি কাজ করতে যাচ্ছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ছবিতে।
কাজী হায়াৎ মনে করেন, কাঙ্ক্ষিত চরিত্র এখনকার সময়ে একেবারে কম। অনেকদিন পর একটা ভালো চরিত্রে কাজ করতে পারবেন বলে ধারণা করছেন তিনি।
আজ ৩ মে গাজীপুরের পুবাইলের খিলগাঁও আপন ভুবন শুটিং স্পটে এই ছবির শুটিংয়ের সময় নিজের চিন্তাভাবনাগুলো এনটিভি অনলাইনের সাথে ভাগাভাগি করলেন নন্দিত পরিচালক ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ। এই ছবিতে তিনি নায়ক বাপ্পির দাদার চরিত্রে অভিনয় করছেন।
শুটিংয়ের ফাঁকে শিল্পীদের অভিনয় নিয়ে কথা হয় কাজী হায়াতের সাথে। তিনি বললেন, ‘শিল্পীরা যেমন অভিনয় কম জানে, তেমনি এখনকার পরিচালকরাও শিল্পীর কাছ থেকে অভিনয় বের করতে পারেন না। আমি তো পরিচালনার চেয়ে বেশি ছবিতে অভিনয় করেছি, ২০০ ছবিতে অভিনয় করেছি! এখনো প্রচুর ছবিতে আমাদের অভিনয়ের জন্য নিচ্ছে কিন্তু অভিনয় করাচ্ছে না।
কোনো রকম একটা গল্প নিয়ে ছবি বানায়। আমার মতো যাদেরকে দর্শক চেনে, তাদের নিয়ে কাজ করায়। অথচ এর গভীরে কিছু থাকে না।’
নিজের অভিনয় করা কোন ছবির চরিত্রটি ভালো লাগে তাঁর? কাজী হায়াৎ বললেন, নায়করাজ রাজ্জাক পরিচালিত রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশনের একটি ছবি ‘মন দিয়েছি তোমাকে’ ছবির একটি ক্যারেকটার ছিল। ওটা করার কথা ছিল নায়করাজের, পরে আমি করেছি। সেই ছবির পরে এখন ঝন্টুর ছবিতে একটা ভালো চরিত্রে কাজ করছি। অভিনয় করে তৃপ্তি না পেলে ভালো অভিনয় হয় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখনকার সময়ে বাংলাদেশের ছবির অবস্থা ভালো না। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে, যারা অভিনয় করছে তারা অভিনয় জানে না। আর যারা ছবি বানাচ্ছে তারা ছবি পরিচালনা করতে জানে না। আর একসময় ছবি যারা ভালো বানাত, তারা এখন আর আমাদের মাঝে নেই। নতুন যারা কাজ করছে, তাদের কেউ উল্লেখ করার মতো কোনো কাজ দিতে পারছে না। এমন কেউ নেই যে আশা দেখাতে পারে।’
এই ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ছবিতে আমি নায়ক বাপ্পির দাদার ভূমিকায় অভিনয় করছি। আমার মেয়ে মোমেনাকে আঁচলের বাবা ইলিয়াস কাঞ্চন বিয়ে করে বাসর রাতেই চলে যায়। সেই থেকে আমার মেয়ে আর বিয়ে করেনি। আর সেই থেকে আমাদের দুই পরিবারের সম্পর্ক নষ্ট হয়। তার প্রতিশোধ নিতে বাপ্পিকে দিয়ে আঁচলকে বউ বানিয়ে এই বাড়িতে নিয়ে আসি এবং বাসর রাতের আগেই তাকে বাবার বাড়িতে ফেরত পাঠাই। তারপরই শুরু ছবির মূল গল্প। ছবিটিতে দর্শক আলাদা ধরনের মজা পাবে। গ্রামের মানুষের অনেক মজার ঘটনা আছে এই ছবিতে।’