ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের শিডিউল পাওয়ায়  স্বস্তিতে আছেন পরিচালক বদিউল আলম খোকন। ‘পাগল মানুষ’ চলচ্চিত্রের অবশিষ্ট কাজ শেষ করতেই শাবনূরের শিডিউলের  অপেক্ষায় ছিলেন পরিচালক। গতকাল মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, সকাল ১০টায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সাথে শাবনূরের চুক্তি হয় বলে জানিয়েছেন এই ছবির নায়ক শাহের খান।

২০১২ সালে ‘পাগল মানুষ’ পরিচালনার সময় আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন এম এম সরকার। এই ঘটনার দীর্ঘ বিরতির পর প্রয়াত পরিচালকের একসময়কার সহকারী বদিউল আলম খোকন নতুন করে এই ছবির কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেন।

বদিউল আলম খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই শাবনূরকে বলছি শিডিউল দেওয়ার জন্য। অবশেষে গতকাল সকাল ১০টায় তাঁর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এম এম সরকার আমার ওস্তাদ ছিলেন। এই ছবির কাজ শেষ করা এখন আমার দায়িত্ব।’ 

নায়ক শাহের খান বলেন, ‘গতকাল আমাদের সাথে শাবনূর ম্যাডামের চুক্তি হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল আমরা একটি আইটেম গানের শুটিং করব সাভারে, মনোয়ার হোসেন ডিপজলের শুটিং হাউজ দিপু ভিলাতে। এই আইটেম গানের সঙ্গে নাচ করবেন বিপাশা কবির। এই গানে একটি দৃশ্য আছে আর সেখানে অংশ নেবেন শাবনূর। সাভারে আমরা দুদিন শুটিং করব। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শাবনূরের সাথে আমার একটা গানের শুটিংয়ের সাথে কয়েকটি দৃশ্যের শুটিং হবে। মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আমরা পুরো কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।’ 

‘পাগল মানুষ’ ছবিতে ৯৬টি দৃশ্য আছে। ৯৫টি দৃশ্যের কাজ শেষ। শুধু শাবনূরের কয়েকটি দৃশ্যের শুটিং বাকি আছে। ছবিতে গান আছে পাঁচটি, এর মধ্যে দুটি গান বাকি আছে এর একটি আইটেম গানে বিপাশা কবিরের সাথে শাবনূরকে প্রয়োজন হবে। আরেকটি গানে শুধু শাবনূর আর নায়ক শাহের খান অভিনয় করবেন। 

২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘পাগল মানুষ’ ছবির শুটিংয়ের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ছবির পরিচালক এম এম সরকার। তাঁর সাথে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদেই অবশিষ্ট কাজে হাত দিচ্ছেন পরিচালক খোকন। তিনি বলেন, ‘এম এম সরকার যখন হাসপাতালে মারা যান, তখন ওখানে অনেক টাকা বাকি পড়েছিল। পুরো টাকা প্রযোজনা সংস্থা পরিশোধ করে আর তখনই আমি এই ছবি শেষ করার দায়িত্ব নিই।’