কমেডিয়ান থেকে রাজনীতিবিদ হয়েছেন যাঁরা

রাজনীতিবিদদের উত্থান গবেষণা করতে গেলে অনেক সময়ই বিস্মিত না হয়ে উপায় থাকে না। জীবনের বিচিত্র সব পর্যায় পার করে রাজনীতির ময়দানে আবির্ভূত হন একেক রাজনীতিবিদ। অনেক সময়ে তাঁদের পূর্বের জীবনযাপন রাজনীতির সঙ্গে একেবারেই মেলে না। জানলে অবাক হবেন, নেহাত কৌতুক অভিনেতা থেকে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি, অর্থাৎ রাষ্ট্রপতিও হয়েছেন অনেকে! টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই ছয় কমেডিয়ান থেকে রাজনীতিবিদ তথা রাষ্ট্রপতি বনে যাওয়া ব্যক্তিত্বের কথা।
১. জিমি মোরালেস
গুয়াতেমালার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস আগে ছিলেন একজন কৌতুক অভিনেতা। মজার বিষয়, এর আগে তাঁর রাজনীতিতে কোনো অভিজ্ঞতা বা সম্পৃক্ততা একেবারেই ছিল না!
২. জ্যাকব হগার্ড
১৯৯৪ সালে ডেনমার্কের সংসদে নিজের স্থান করে নেন এই টেলিভিশন কৌতুক অভিনেতা। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পরিবেশ-প্রকৃতি-জলবায়ুর উন্নয়ন করবেন এবং সেনাবাহিনীর রেশনে নিউটেলা (চকলেটজাতীয় খাবার) জুড়ে দেবেন। ব্যস, তাতেই কেল্লা ফতে!
৩. বিপ্পে গ্রিল্লো
তিনি রাজনীতিবিদ বা কৌতুক অভিনেতা—দুই ক্ষেত্রেই দারুণ জনপ্রিয়। ইতালিয়ান এই ভদ্রলোক ছিলেন আলোচিত ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্ট’-এর প্রবক্তা, যাঁর মাধ্যমে ইতালির দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটে ২০১৩ সালে। হাস্যরসের চর্চায় এখনো অবসর নেননি। কিছুদিন আগে এক অধ্যাপককে কটূক্তিমূলক কথা বলে জেলও খেটেছেন তিনি।
৪. জন নার
আইসল্যান্ডের রেকিয়াভিক শহরের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এই কৌতুক অভিনেতা। অবশ্য তাঁকে ঠিক অভিনেতা বলা যায় না, তিনি একটি কৌতুক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতেন টেলিভিশনে। স্রেফ ঠাট্টার ছলে সেই অনুষ্ঠানেই তিনি একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১০ সালে নির্বাচনের সময়ে তাঁর প্রতিশ্রুতি ছিল, পাবলিক সুইমিংপুলে সবাইকে বিনা পয়সায় তোয়ালে দেবেন তিনি!
৫. অ্যাল ফ্র্যাঙ্কেন
‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’ অনুষ্ঠানে হাস্যরসের জন্য দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। তবে ২০০৯ সালে মিনেসোটার ডেমোক্রেটিক সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এই পূর্বপরিচয়ের কারণে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বটে তাঁকে!
৬. ভগবন্ত মন
ভারতীয় সংসদে এই কৌতুক অভিনেতা জায়গা করে নিয়েছেন ২০১৪ সালে। নির্বাচিত হওয়ার আগে সে সময়ে ‘হবু প্রধানমন্ত্রী’ নরেন্দ্র মোদিকে নিয়েও বেজায় ঠাট্টা করেছিলেন তিনি!