নতুন উদ্যমে চলচ্চিত্রে ফিরছেন ডিপজল

দীর্ঘদিন ধরেই মনোয়ার হোসেন ডিপজলের প্রতিষ্ঠান ‘অমি-বনি কথাচিত্র’ কোনো ছবি বানাচ্ছে না। ২০১২ সালে ‘সৌভাগ্য’ ছবিটি শেষ হলেও মুক্তির কোনো তারিখ ঠিক হয়নি। তবে অমি-বনি কথাচিত্রের জন্য এরই মধ্যে নয়টি চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ করেছেন যোসেফ শতাব্দি। ডিপজলের শুটিং বাড়ি ‘দিপুভিলা’য় বসেই তিনি লেখালেখির কাজ সারছেন। আর এই কাজে তাঁকে সাহায্য করছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি জানান, খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করার ইচ্ছা আছে তাঁর। যেকোনো সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ছবি তৈরির ঘোষণা দেবেন তিনি।
এফআই মানিক পরিচালিত ‘সৌভাগ্য’ ছবিটি মুক্তির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানান মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা চলচ্চিত্রের ব্যবসা করি তাদের এক ছবি বানিয়ে, সেটা মুক্তি দিয়ে বসে থাকলে হয় না, একসঙ্গে বেশ কয়েকটা ছবি বানাতে হয়। তাহলে ব্যবসাটা চলমান থাকবে। নয়টি ছবির গল্প চূড়ান্ত করেছি। পরিচালক এবং নায়ক-নায়িকার ক্ষেত্রে থাকবে নতুন চমক। আমার প্রযোজনা সংস্থা অমি-বনি কথাচিত্র আগের মতো করেই চলচ্চিত্র শিল্পে ফিরে আসবে।’
সম্প্রতি ডিপজল নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থার বাইরে জাজ মাল্টি মিডিয়ার ‘অনেক দামে কেনা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এই ছবিতে ডিপজলের সঙ্গে রয়েছেন বাপ্পি চৌধুরী, মাহিয়া মাহি ও তানহা। এই ছবি প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, ‘অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প নিয়ে জাকির হোসেন রাজু এই ছবি বানাচ্ছে। আর অভিনেতা হিসেবে আমারও একটা দায়িত্ব আছে। ভালো গল্প না হলে আমি অভিনয় করব কেন?’
ডিপজল আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা ভালো না, এটা সবাই জানেন। ভালো করার জন্য প্রয়োজন ভালো ছবি। ভালো ছবি ছাড়া দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে ফেরানো সম্ভব নয়। আমার প্রযোজনা সংস্থা আছে, প্রেক্ষাগৃহ আছে, এগুলো সচল রাখতে হলে আমাকেও আগের মতো ভালো ভালো ছবি বানাতে হবে। যে ধরনের ছবি এখন হচ্ছে তা দিয়ে প্রেক্ষাগৃহ টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এ জন্য আমি আবারও আম্মাজান, তেজী, কোটি টাকার কাবিন, চাচ্চু, দাদি মা, কাজের ছেলে, মায়ের চোখ, আমার স্বপ্ন আমার সংসার, রিকশাওয়ালার ছেলের মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমা নির্মাণ করব। আমার বিশ্বাস, প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ফেরানোর পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে আমার যে দায়িত্ব আমি সেটা পূরণ করার চেষ্টা করব।’