‘শয়তানে’র শুটিংয়ে বাংলা শিখিয়েছেন নিরব

ঢাকাই চলচ্চিত্রে আলোচিত অভিনেতা নিরব হোসেন বলিউডের ছবিতে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছেন। ‘শয়তান’ নামে ছবিটি ফয়সাল সাইফের লেখায় পরিচালনা করেছেন সামির খান। ছবিটিতে নিরবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভারতের কবিতা রাধে শ্যাম ও পাকিস্তানি শিল্পী মিরা খান। আসছে ভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারি ছবিটি ভারতে মুক্তি পাবে। ছবিটির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন পরিচালক সামির খান।
এনটিভি অনলাইন : চলচ্চিত্রটির নাম ‘শয়তান’ রাখার কারণ কী?
সামির খান : ছবিটি ভৌতিক গল্প অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। ছবিটিতে মুসলিম সংস্কৃতির অনেক কিছু রয়েছে। আমরা মানুষ হলেও আমাদের অনেকের মনের ভেতর শয়তান বাস করে। ছবিতে এ বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ কারণে ছবিটির নাম ‘শয়তান’।
এনটিভি অনলাইন : ছবিটি মুসলিম সংস্কৃতি নিয়ে তৈরি হয়েছে, এটা কেন বলছেন?
সামির খান : একজন সিবিআই অফিসারের জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। বাস্তবে সেই সিবিআই অফিসার আমার ছবির চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক ফয়সাল সাইফের বন্ধু। সিবিআই অফিসার এখন ভারতে বাস করছেন। তিনি একসময় তাঁর এক পালক শিশুকে নিজেই হত্যা করেন। আসলে তিনি ছিলেন সুন্নি মুসলিম, কিন্তু তিনি বিয়ে করেন শিয়া মুসলিমের একজনকে। পালক শিশু হত্যা করা নিয়ে আদালতে সিবিআই অফিসারের বিচারও হয়।
এনটিভি অনলাইন : ছবিটির ট্রেইলারে হলিউডের প্রভাব দেখা যায়। এ বিষয়ে কিছু বলুন।
সামির খান : আমি মনে করি, অনুপ্রেরণা ছাড়া কেউই ছবি নির্মাণ করতে পারেন না। আমি স্বীকার করছি, হলিউডের অনেক ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি ছবিটি নির্মাণ করছি। কিন্তু ‘শয়তান’ ছবির গল্প একেবারেই আলাদা। কারণ, আমি আগেই বলেছি, এটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : ছবিটি নিয়ে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
সামির খান : অন্য সব পরিচালকের মতো আমিও চিন্তা করছি, আমার ছবিটিও ব্যবসা করবে। আমি এটুকু কথা দিতে পারি, ছবিটি দর্শকের কাছে নতুন আঙিকের ভৌতিক ছবি মনে হবে। ছবিটি দেখে সবার ভয় লাগবে।
এনটিভি অনলাইন : বলিউডে নিরবকে নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
সামির খান : ট্রেইলার ছাড়ার পর থেকে অনেক সাড়া পাচ্ছি। বলিউডে নিরবকে নিয়ে এখন অনেক কথাও হচ্ছে। এমনকি এখানকার দর্শক ‘শয়তান’ ছবি দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। নিরব ভাই ফয়সাল সাইফের অনেক ভালো বন্ধু। তিনি ইউটিউবে নিরবের অনেক কাজ আমাকে দেখান। নিরবের পারফরম্যান্স ও লুক দেখে আমি অনেক বিস্মিত হয়েছি। ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে নিরব সবাইকে বাংলা ভাষা শিখিয়েছেন। ছবির শুটিংয়ের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত নিরব সবাইকে বাংলা ভাষা শেখানোর চেষ্টা করেছিলেন।
এনটিভি অনলাইন : বাংলাদেশের কোনো ছবি কি আপনি দেখেছেন? এ দেশের ছবি সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
সামির খান : অনেকের কাছে শুনে আমি কিছু বাংলা ছবি দেখেছি। আমার ভালোই লেগেছে। যদি বাংলা ছবি ভালোভাবে প্রচার করা হয়, তাহলে এর ভবিষ্যৎ অনেক বেশি ভালো। আমার তাই মনে হয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : বাংলাদেশ ও ভারতের ছবির মধ্যে কী পার্থক্য আছে বলে আপনি মনে করেন?
সামির খান : চলচ্চিত্র তো চলচ্চিত্রই। একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমি বলছি, ভাষা ছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের ছবির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমাদের সবার শিল্পচর্চার দরজা খোলা রাখার দরকার। এতে নতুন প্রতিভাবান শিল্পী বের হয়।