সুপারস্টার আমির খানের ‘দঙ্গল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে প্রবেশ সানিয়া মালহোত্রার। তুলনামূলকভাবে ভূমিকা ছোট হলেও সিনেমাটিতে নিজের অভিনয়দক্ষতা ও শক্তি দেখিয়েছিলেন সানিয়া। আর পেছনে ফিরতে হয়নি তাঁকে। এর পর একে একে উপহার দিয়েছেন ‘পটাখা’, ‘ফটোগ্রাফ’, ‘বাধাই হো’, ‘লুডো’র মতো দর্শক-সমালোচকনন্দিত সিনেমা।

কিছুদিন আগে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে সানিয়া মালহোত্রার ‘পাগলেইট’। সিনেমাটি দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। যা হোক, সম্প্রতি ড্যান্স রিয়েলিটি শো ড্যান্স দিওয়ানের তৃতীয় মৌসুমের মঞ্চে হাজির হন এ অভিনেত্রী আর সেখানেই ফাঁস করেন প্রত্যাখ্যানের গল্প। একসময় এই শোতে অডিশন দিতে চেয়েছিলেন সানিয়া, কিন্তু কোরিওগ্রাফার ও বিচারক ধর্মেশ ইয়েল্যান্ডে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন।

জীবন এমনই রহস্যময়। একদিন যে দরজা বন্ধ ছিল, সে দরজাই উন্মুক্ত হলো সানিয়ার। তা-ও দারুণভাবে। হ্যাঁ, ড্যান্স দিওয়ানে থ্রি-তে ‘সেলেব জাজ’ হিসেবে সম্প্রতি হাজির হয়েছিলেন সানিয়া। সেখানে গিয়েছিলেন তাঁর ‘পাগলেইট সিনেমার প্রচারণার উদ্দেশ্যে। এই শোর বিচারক মাধুরী দীক্ষিত, ধর্মেশ ইয়েল্যান্ডে ও তুষার কালিয়া।

ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবলের খবর, ওই শোতে হাজির হয়ে সানিয়া সেই পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করেছেন। যিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, সেই বিচারক ধর্মেশের সামনেই। সানিয়া বলেন, ‘আজ আমার জীবন পূর্ণ হয়েছে। ছয় বছর আগে, আমি এই স্টুডিওতে এসেছিলাম ড্যান্স রিয়েলিটি শোর অডিশন দিতে এবং আমি প্রবেশ করতে পারিনি। মনে আছে, তখন রাত ১টা। ওই রাতে যখন অবসর পেলাম, আমার বন্ধুকে কল দিয়ে বললাম, আমি প্রবেশ করতে পারছি না, তুমি এসে আমাকে নিয়ে যাও। এবং আপনি ওখানে ছিলেন, ধর্মেশ স্যার। আপনার জন্যই আমি ঢুকতে পারিনি। কিন্তু এখন এখানে আমি আমার সিনেমার প্রচারণায় এসেছি।’

সানিয়ার মুখে ওই কথা শুনে কিছুটা অবাক হন ধর্মেশ। পরে বলেন, ‘আমি মনে করি, তুমি যেদিন এখান থেকে গিয়েছিলে, সেদিন গিয়েছিলে অনেক সাহস আর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে—আমাকে করে দেখাতে হবে।’

হ্যাঁ, দেখিয়েছেন সানিয়া মালহোত্রা। তিনি অসাধারণ নৃত্যশিল্পী। তাঁর নাচের প্রশংসা এখন বি-টাউনের সবার মুখে। আপনি যদি তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ঢুঁ মারেন, তবে দেখবেন তাঁর নৃত্যশক্তি। যা হোক, সানিয়াকে আগামীতে ‘মীনাক্ষী সুন্দরীশ্বর’ ও ‘লাভ হোস্টেল’ সিনেমায় দেখা যাবে।