কুবিতে শিক্ষকদের অসদাচরণের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীর বিচার চেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষ হওয়ায় উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছেন শিক্ষক নেতারা। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা।
আজ সোমবার এ বিষয়টি নিয়ে দিনভর বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কর্মসূচি পালন করেন দুই পক্ষের শিক্ষকরাই।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন জানা গেছে, কলা অনুষদের ডিনের হাতে তাঁরই এক সহকর্মী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় বিচার চেয়ে গতকাল রোববার উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু পরিষদ। আজ দুপুরে ওই সময় শেষ হওয়ায় তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা জানতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষকরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ কয়েকজন উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় হঠাৎ করে উপাচার্যপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দুর রহমান, কাজী কামাল, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেবসহ বেশ কয়েকজন উপাচার্য কক্ষে প্রবেশ করেন।
পরে তাঁদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শিক্ষক সমিতির নেতাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার পর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষকরা উপাচার্যের কক্ষে অবস্থান করেন। উপাচার্য মো. আলী আশরাফ সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্ষ থেকে বেরিয়ে বাসভবনে চলে গেলে অবস্থানরত শিক্ষকরাই সেখান থেকে চলে যান।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের দাবি, উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা তাঁদের ওপর হামলা করেছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষক ও প্রক্টর কাজী কামাল উদ্দিন। এদিকে শিক্ষকদের দুই পক্ষ সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টপাল্টি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘তাঁরা সবাই আমার সহকর্মী, আমার কক্ষে আসতেই পারেন।’ তবে শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
গত ১৬ ডিসেম্বর ইংরেজি বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স (ইএমএ) প্রোগ্রামের প্রশ্ন মডারেশন নিয়ে ঝামেলা হয়। এতে আবুল হায়াতকে বিভাগের সভাপতি এম এম শরীফুল করীম লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার পর গত ১৮ ডিসেম্বর উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন আবুল হায়াত। নিজের নিরাপত্তা চেয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন ওই শিক্ষক।
এদিকে এ ঘটনাটি ক্ষতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কুণ্ডু গোপীদাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত ওই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।