বাড়ছে ডিমের দাম, পেঁয়াজেও ঝাঁজ

বাজারে বেড়েই চলেছে ডিম ও পেঁয়াজের দাম। অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্নবিত্ত ও নিম্ম মধ্যবিত্তদের ডিম ও পেঁয়াজ কিনতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। এতে বেশ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগীর এক ডজন ডিমের (লাল) দাম ১৪০ টাকায় উঠেছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা বেশি। তবে ডিমের এক ডজন পাড়া-মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৮৫ টাকায় উঠেছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৩০ টাকা বেশি। এক কেজি পেঁয়াজ পাড়া-মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা পর্যন্ত। বাজারভেদে দামের ভিন্নতা রয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কারওয়ান বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের (লাল) দাম ডজনপ্রতি ১৪০ টাকা। অন্যদিকে, ফার্মের মুরগির ডিম (সাদা) ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় ফার্মের মুরগির ডজনপ্রতি ডিমের (লাল) দাম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। ফার্মের মুরগির সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। অপরদিক কারওয়ান বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৮৫ টাকা। পাড়া-মহল্লায় কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকা। পাইকারি দোকানে মনপ্রতি (৪০ কেজি) পেঁয়াজের দাম তিন হাজার ১০০ টাকা। যেখানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ৭৭ টাকা ৫০ পয়সা।
গত কয়েকদিন ধরেই ডিমের বাজার চড়া জানিয়ে কারওয়ান বাজারের ডিম ব্যবসায়ী নূর আলম বলেন, ফার্মের মুরগিরর ডিম ডজনপ্রতি ২০ টাকা বাড়তি। ডিমের দাম বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিম উৎপাদনের ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া এখন ডিমের সরবরাহ কিছুটা কম।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ও মাহফুজ বলেন, এখন পেঁয়াজের মৌসুম না। এছাড়া মজুদ করা পেঁয়াজের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমছে। সরবরাহ কমায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের মৌসুমে দাম কমে আসবে।
ডিমের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা আলী আহম্মদ বৃষ্টিকে দায়ী করলেন। তিনি বলেন, বর্ষায় সরবরাহ কমেছে। তবে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী জোবায়ের বলেন, গত এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে ডিমের দাম তেমন বাড়েনি। প্রতিশত ডিম এক হাজার ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এখন আলু ও পেঁপে বাদে বাকি সব সবজির দাম কেজিপ্রতি ৭০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। বেগুন গোল হোক বা লম্বা, দাম চড়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সবজির দাম বেশি থাকায় বাজারে গিয়ে ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করছেন। কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা আবিদ রহমান বলেন, প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকার বেশি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পটল এখন ৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, করলা ১১০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢেঁড়শ ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।