দুর্গাপূজা ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত : মহাপরিচালক

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দেশব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পূজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত রয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের ডিজি।
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে র্যাব কাজ করছে। সারা দেশে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা দিচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ বছর শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা শেষ হবে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে কোনো মহল যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে, সে বিষয়ে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম তৎপর রয়েছে।
গুজব বা অপতৎপরতা সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে জানানোর অনুরোধ জানিয়ে এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, দেশের মন্দিরগুলোতে র্যাবের পোশাকধারী সদস্যের বাইরে সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাবের ডিজি বলেন, পূর্বের বছরগুলোর ন্যায় এ বছরও অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে সারা দেশব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে এবং সবাই উৎসবমুখরভাবে পূজা উদযাপন করবে। র্যাব ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিকভাবে পূজামণ্ডপ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রয়োজনীয় স্যুইপিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে। এ ছাড়া র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও র্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম যেকোনো নাশকতা, হামলা ও উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে ব্যাটালিয়নগুলোর নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে বিগত বছরগুলোতে দুস্কৃতকারী চক্রের হামলা, ভাঙচুর করার বিরুদ্ধে র্যাব ফোর্সেস তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কোনরূপ হামলা, পূজামণ্ডপ ভাঙচুর বা পূজার উপকরণাদি ভাঙা, ডাকাতি, চুরি বা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি না হয়।
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। ব্যাটলিয়নগুলো নিজ নিজ কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে তাদের অধিক্ষেত্রে স্থানীয় পূজা কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখছে। র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে।
র্যাবের ডিজি এ কে এম শহিদুর রহমান আরও বলেন, নাশকতাসহ যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক টহল মোতায়েন ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করার মাধ্যমে নাশকতাসহ যেকোনো ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের গুজব, উসকানিমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে।