শ্রীপুরে র্যাবের গাড়ি অবরুদ্ধ, যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপে মুক্ত

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ব্যবসায়ীর দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে আটকের অভিযোগে র্যাবের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করে স্থানীয় সাধারণ জনতা ও ব্যবসায়ীরা। তারা রাস্তায় কাঠ-বাঁশসহ বিভিন্ন মালামাল রেখে র্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শ্রীপুর থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ব্যর্থ হলে সন্ধ্যা ৭ সাতটায় সেনাবাহিনী এসে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে র্যাব সদস্যদের মুক্ত করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. মোশাররফ হোসেন (৪৫) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী মধ্যপাড়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে। তিনি বরমী বরামা চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আজ বিকেল ৪টার দিকে র্যাবের একটি দল মোশাররফের দোকানে এসে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় র্যাব সদস্যরা দোকানের ভেতরে গোপনে একটি আগ্নেয়াস্ত্র রেখে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। এরপর তাকে মারধর করে হাতকড়া পরিয়ে র্যাবের গাড়িতে উঠায়। এরপর উপস্থিত জনতা ও র্যাবের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে ফেলে।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে, গত শুক্রবার রাতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম লিটন মোশাররফের দোকানে এসে চাঁদা দাবি করে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এরপর তার বাড়ি ঘেরাও করে জনতা। এর জেরে সন্ত্রাসী লিটন র্যাবের মাধ্যমে দোকানে অস্ত্র দিয়ে তাকে ফাঁসাতে চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমরা খবর পেয়েছি র্যাব মোশারফ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করার পর এলাকাবাসী র্যাবের গাড়ি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এলাকাবাসীর দাবি তার দোকানে অস্ত্র নিজেরাই রেখে র্যাব তাকে আটক করেছে। এই খবর পাওয়ার পর পুলিশ সেখানে যায় এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে যৌথভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি, তবে হবে বলে জানান তিনি।
বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে এমন খবর প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশের কাছে এখনো কাউকে হস্তান্তর করা হয়নি, তাই আটকের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত নই।