পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যার পর সন্তানসহ থানায় স্বামী

পটুয়াখালীর বাউফলে পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর চার বছরের শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী সরোয়ার হোসেন (৪০)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে বাউফল থানায় গিয়ে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন তিনি।
নিহত সালমা আক্তার (৩২) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে। তিনি বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেন একই উপজেলার নদমুলা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকরির সুবাদে সালমা ও সরোয়ার তাদের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাউফল উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন বেপারীর বাসায় ভাড়া থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে কলহের জেরে ঘরে থাকা একটি ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী সালমা আক্তারের ঘাড়ে কোপ দেন সরোয়ার। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হত্যার পর দরজা-জানালা বন্ধ করে শিশুকে সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে বাউফল থানায় হাজির হয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, সরোয়ার হোসেন থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। শিশুটিকেও পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরোয়ার জানিয়েছেন, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।