সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনকে হত্যার অপরাধে স্বামী ইসমাইল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় আরেক আসামি, ইসমাইলের মা মোছা. সাহিদা বেগমকে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল হোসেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন ও সুমাইয়া খাতুন প্রেমের সম্পর্ক থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই ইসমাইল যৌতুকের জন্য সুমাইয়াকে নির্যাতন করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ২০২০ সালের ১৯ জুন দুপুরে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর ইসমাইল ও তার পরিবারের সদস্যরা সুমাইয়ার মরদেহ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনার পরদিন নিহত সুমাইয়ার ভাই আবু হানিফ সরকার বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় ইসমাইল হোসেন, তার বাবা আবু তালহা এবং মা সাহিদা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এই রায় দেন।