বৃষ্টিতে ডুবেছে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল, জনজীবনে দুর্ভোগ

গত পাঁচ দিনের ভারি বর্ষণে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। বিরামহীন বৃষ্টিপাতে উপজেলার অফিসপাড়া, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তবে সতর্কতার অংশ হিসেবে দুর্বল ঘরের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, গত শনিবার থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত বিরামহীন ভারি বৃষ্টিতে পায়রা ও লোহালিয়া নদীর জোয়ারের পানির চাপ বেড়েছে। এতে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের আঠারগাছিয়া, পাংগাশিয়া ইউনিয়নের রাজগঞ্জ-চান্দখালী, বাঁশবুনিয়া, হাজিরহাট, আলগি, আংগারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর, জলিশা কদমতলা ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের উত্তর মুরাদিয়া, সন্তোষদি, চরগরবদি, দক্ষিণ মুরাদিয়ার কলাগাছিয়া এবং লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালী, আঠারগাছিয়া, কার্তিকপাশাসহ বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল এলাকা হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে আছে।
জনতা কলেজের ছাত্র মো. সাইফুদ্দিন জানান, দুমকি উপজেলা অনেকটা নদীবেষ্টিত হওয়ায় বৃষ্টির পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জোয়ারের পানিও লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন।
পীরতল বাজারের ব্যবসায়ী সোহরাব বিশ্বাস বলেন, বিগত সরকারের আমলে পীরতলা খালটি দখল করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে খালে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয় না। শহরজুড়ে পানি জমে থাকছে। দ্রুত খালটি দখলমুক্ত করে খনন করা দরকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, বৃষ্টিপাত ও নিম্নচাপের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।"