দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মিছিল

ঝালকাঠিতে গতকাল বুধবার রাতে কালীমন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মিছিল করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে আধা ঘণ্টা কালীবাড়ি সড়ক অবরোধ করা হয়।
এদিকে, আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশালের ভারপ্রাপ্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আকরাম হোসেন, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জোবায়েদুর রহমান প্রমুখ। সেখানে তাঁরা মন্দির কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সে সময় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দেন ডিআইজি আকরাম হোসেন।
মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেনকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ডিসি মো. মিজানুল হক চৌধুরী।
গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে পূজার অনুষ্ঠান চলাকালে শহরের একটি কালীমন্দিরে হামলা চালায় স্থানীয় কিছু চাল ব্যবসায়ী। এ সময় ভাঙচুর করা হয় দেবতা কার্তিকের প্রতিমা। পরে হামলাকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে আটজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মন্দির কমিটির সঙ্গে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীর বিরোধ চলছিল। চাল ব্যবসায়ীরা মন্দিরের জায়গায় ব্যবসা করছিল। মন্দির সম্প্রসারণের জন্য কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সরে যায়নি।
গতকাল পূজার অনুষ্ঠানে প্রসাদ বিতরণকালে চাল ব্যবসায়ী হাকিম তালুকদার, দুলাল দেবনাথ, গোপাল দেবনাথ ও সমীর দেবনাথের নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে হামলাকারীরা লাঠিসোটা দিয়ে মন্দিরের কার্তিক প্রতিমা ভাঙচুর করে।
অন্যদিকে চাল ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমার নাথ ভানুর নেতৃত্বে মন্দিরসংলগ্ন চালের দোকানে হামলা ও লুটপাট করা হয়। এসব দোকান থেকে তারা নগদ এক লাখ ২৪ হাজার টাকা লুটে নেয় এবং মালামাল নষ্ট করে।