পাঁচ শতাধিক যাত্রী ভাসছে বঙ্গোপসাগরে

বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা মালয়েশিয়াগামী ১১৬ জন বাংলাদেশিকে টেকনাফ আনা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সেন্ট মার্টিন থেকে ১০ কিলোমিটার অদূরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে ওই যাত্রীবাহী কাঠের ট্রলারটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ১১৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে টেকনাফ পৌঁছায় কোস্টগার্ড।
urgentPhoto
উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের থাইল্যান্ড সীমান্তে ভাসছে আরো পাঁচ শতাধিক মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশি। কোস্টগার্ড জানিয়েছে, গভীর সমুদ্রে এ রকম তিন থেকে চারটি থাইল্যান্ডের ট্রলার আছে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশের বয়স ১৬ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। আর এদের স্থায়ী ঠিকানা নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রামসহ কক্সবাজারের আশপাশের এলাকায়।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের দাবি, গত আড়াই মাস ধরে তাঁরা অবস্থান করছিলেন মিয়ানমারের সীতা পাহাড় এলাকায়। এ সময় যাত্রীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয় বলে তাঁরা জানান।
তাঁদেরই একজন জানান, তাঁরা ২৫ দিন ধরে অভুক্ত। প্রতিটা যাত্রীকে পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাগরে অভিযান অব্যাহত থাকায় সোমবার মিয়ানমার সীমান্তে ১১৬ বাংলাদেশি বহনকারী ট্রলার ফেলে চলে যায় থাইল্যান্ডের নাবিক। যাত্রীদের মধ্যে দুজনের চেষ্টায় ট্রলারটি বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে বলে জানায় উদ্ধার হওয়া এসব মানুষ।
এঁদেরই একজন জানালেন, ‘সাড়ে চার ঘণ্টা ট্রলার চালিয়েছি। আমাদের পেছনে লেগেছিল নাসাকা বাহিনী। ওরা আমাদের ট্রলারে গুলিও চালিয়েছিল।’
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সাগরে তাঁদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের সেন্ট মার্টিনের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ডিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রে এ রকম তিন থেকে চারটি থাই ট্রলার আছে। আমাদের কাছে এ খবরটা আছে। যদি ধরে নেই প্রতিটা ট্রলারে ১০০ থেকে ১২০ জন যাত্রী থাকে, তাহলে সে হিসাবে তিন-চারটা ট্রলারে যে পরিমাণ লোক থাকে সে পরিমাণ লোকই আছে।’
টেকনাফ পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের থানায় হস্তান্তর করার পর পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।