সীমান্ত এলাকার নদীতে বালু-পাথর লুট ঠেকাতে বিজিবির অভিযান

সিলেটের সাদা পাথর লুটের পর এবার সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকার যাদুকটা, চলতি নদী ও সুরমা নদীতে বালু-পাথর লুট ঠেকাতে এবং সুনামগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঠিক রাখতে অভিযান পরিচালনা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ সদর ও তাহিরপুরের সীমান্ত এলাকায় এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির।
সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিলেটের সাদা পাথর থেকে পাথর লুট হওয়ার পর সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) সতর্কতা বাড়িয়েছে। তারা সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা এবং বিভিন্ন নদীর বালু ও পাথরের সুরক্ষায় অভিযান চালাচ্ছে। বিশেষ করে, তাহিরপুরের যাদুকাটা নদী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চলতি নদী এবং দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার বালু ও পাথর মহালেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যদিও সুনামগঞ্জে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, তবুও নিরাপত্তার জন্য বিজিবি এই অভিযান চালাচ্ছে।
বিজিবি পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এই বছর জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪৬ কোটি কাটার ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির জানান, সুনামগঞ্জে ৯০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সুনামগঞ্জের সীমান্ত। এই ৯০ কিলোমিটার সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে বিজিবি সদস্যরা। সীমান্ত এলাকা থেকে দেড়শ গজ পর্যন্ত ও ৩০০ গজ পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সব ধরনের অবৈধ পথে চোরাচালান বন্ধ করতে বিজিবি তৎপর রয়েছে। সীমান্ত এলাকা ও নদীতে অভিযান পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪৬ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ পণ্য ও অবৈধ পথে আনা গরু আটক করেছে। তবে সীমান্ত এলাকায় কাজ করতে গিয়ে কিছুটা বেগ পেতে হয়। সীমান্তে পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার এলাকায় মাত্র ২০ জন বিজিবি সদস্য টহল দেয়। তারপরও বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বিজিবির অধিনায়ক আরও জানান, সুনামগঞ্জের পর্যটনস্পটগুলোও একইভাবে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।