ত্রিশালে নজরুল জন্মজয়ন্তীর পর্দা নামল

পর্দা নামল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবির বাল্যস্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুর নজরুল একাডেমি মাঠে তিনদিনব্যাপী জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানমালার।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় জন্মজয়ন্তীর তৃতীয় দিনের জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানমালার প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। এ দিন বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তাগাছার সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, পুলিশের ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন পিপিএম, ত্রিশালের মহিলা ভাইস চেযারম্যান লুৎফুন্নাহার বিউটি, আওয়ামী লীগ নেতা নবী নেওয়াজ সরকার প্রমুখ। জেলা প্রশাসক মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। নজরুল স্মারক বক্তব্য উপস্থাপন করেন জনপ্রশাসনমন্ত্রীর একান্ত সচিব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম রওশন এরশাদ বলেন, ‘নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক কবি। তাঁকে বছরে একবার মনে করব না সারা বছর মনে করব, একদিনের মধ্যে তাঁকে আবদ্ধ করে রাখব না। তিনি গরিবের দু:খ বুঝতেন। তিনি মানবজাতির কল্যাণ কামনা করেছেন। অত্যাচারিতের কান্না তিনি বুঝতেন।’
সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি বলেন, নজরুল শুধু বিদ্রোহী কবি বা জাতীয় কবি নন; তিনি ছিলেন প্রেমের কবি, মানবতার কবি। তাঁর সাহিত্যকর্ম নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই গবেষণা হচ্ছে।
ডিআইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি। তাঁর বিপ্লবী গানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার উৎস।’
এদিকে তিনদিনব্যাপী উৎসবকে ঘিরে দরিরামপুর নজরুল একাডেমি মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বসেছে নজরুলের বইয়ের প্রদর্শনী ও গ্রামীণ মেলা।
আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।