ঈশ্বরগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় সাংবাদিকসহ আহত ১৫

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এক সাংবাদিকের ক্যামেরা।
আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের কানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সুমন মিয়া (৩০) ও আব্দুস ছাত্তারকে (৫০) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান এবং দৈনিক মানবজমিনের উপজেলা প্রতিনিধি এফ আই সুমন।
সমকাল প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুপুরে সরিষা ইউনিয়নের কানপুরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া ও বিদ্রোহী প্রার্থী একরাম হোসেনের সমর্থকরা প্রথমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং পরে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এতে আবদুস সাত্তার, সুমন মিয়া, আশরাফুল আলম, মোজাম্মেল হকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে তাঁকেসহ মানবজমিনের প্রতিনিধি এফ আই সুমন হামলার শিকার হন। তাঁদের কিল-ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় এবং জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলা হয়।
সমকালের প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, এ সময় তাঁর গলায় ছুড়ি ধরে ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পিঠে আঘাত করা হয়। তিনি এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন বলেন, ‘সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনতাই হয়েছে সত্য। কিন্তু সংঘর্ষের সংবাদ গুজব।’
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সন্ধ্যায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়রির (জিডি) হবে বলেও জানান তিনি।