ময়মনসিংহে নির্বাচনী বিরোধে হতাহতের ঘটনায় মামলা

ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও মুক্তাগাছায় নির্বাচনী বিরোধে হতাহতের ঘটনায় কাউন্সিলর পদপ্রার্থীসহ ৩২ জনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছেন স্বজনরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিহত রাবেয়া খাতুনের ছেলে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আজিজুল হক গফরগাঁও থানায় এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) কর্মী কালাচাঁনকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তাঁর চাচা আবু মো. মোফাজ্জল হোসেন মুকুল আজ শুক্রবার সকালে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত বুধবার রাতে আজিজুল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গতকাল রাতে তিনি নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনায় আরেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আনিসুল হক, আনিসুলের ভাতিজা ইকবাল ও ভাগ্নে সোহাগসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে আজিজুলের বাসায় নির্বাচনী সভা চলাকালে আনিসুলের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আজিজুলের মা রাবেয়া খাতুন (৬৫) নিহত হন। ঘটনার রাতেই আটক করা হয় আনিসুলের ভাতিজা ইকবাল ও ভাগ্নে সোহাগকে।
মামলার বাদী আজিজুল হক ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আসামি আনিসুল একই ওয়ার্ডের সভাপতি।
অন্যদিকে, মুক্তাগাছা শহরের পাড়াটুঙ্গী এলাকায় বুধবার রাতে নির্বাচনী বিরোধে আওয়ামী লীগকর্মীদের হামলায় জাপাকর্মী কালাচাঁন আহত হন। এ ঘটনায় তাঁর চাচা আবু মো. মোফাজ্জল হোসেন মুকুল মামলা করেছেন। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুক্তাগাছা থানায় মামলাটি করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে আটক শিবলু, মোবারকসহ ১৩ জনকে।
গফরগাঁও ও মুক্তাগাছার ঘটনায় আটক ইকবাল, সোহাগ, মোবারক ও শিবলুকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে নেওয়ার পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।