কিশোরগঞ্জের ভৈরবের চকবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এক কোটি টাকা মূল্যের ৩০ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উদ্ধার হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ভৈরব চকবাজারের সুলতান মোড় এলাকার আল-আমিন স্টোর ও শাহজাহান স্টোরে অভিযান চালিয়ে এসব নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করেন। এ সময় আল-আমিন স্টোরের মালিক আবদুর রউফের ছেলে যোবায়ের মিয়া (২২) ও শাহজাহান স্টোরের কর্মচারী সুমন মিয়া (৩৮) এবং শ্রমিক মিলন মিয়াকে (৩০) আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরে অভিযানে আটক আল-আমিন স্টোরের যোবায়েরকে পাঁচ হাজার টাকা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড, শাহজাহান স্টোরের কর্মচারী সুমন মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও দোকানের শ্রমিক মিলন মিয়াকে দুই হাজার টাকা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এ সময় প্রত্যেকে আর্থিক জরিমানা পরিশোধ করেন।

ভৈরবের চকবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এক কোটি টাকা মূল্যের ৩০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিনজনকে জরিমানা করা হয়। ছবি : এনটিভি

ওই রাতেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানার উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযানে থাকা জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান জানান, ভৈরব বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল গোপনে বিক্রি করছে—এমন খবর পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিসুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকা মূল্যের সরকার নিষিদ্ধ ৩০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার এবং অবৈধ এই কারেন্ট জাল বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তিনজনকে আটক করা হয়। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা জানান, গত ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনা পালনে ভৈরবের অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।