সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মুনীরকে স্মরণ করেছে মানিকগঞ্জবাসী। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে তাঁদের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বৃক্ষরোপণ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্থানীয় সংগঠন। 

কর্মসূচির প্রথমে নিহতদের স্মরণে তাঁদের স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর মহাসড়কের পাশে নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন এবং পরে বৃক্ষরোপণ করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি  জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রিপন আনসারী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, নাট্য পরিচালক গিনি আলম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ঘিওর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান, ঘিওর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রামপ্রসাদ সরকার দীপু ও লেখকসংঘ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

বক্তারা তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরসহ নিহত পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ প্রদান, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত, অদক্ষ ও নেশাখোরদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে না দিতে পরিবহনের মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

এ ছাড়া তারা ঢাকা-পাটুরিয়া সড়কে রেললাইন স্থাপন এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পয়েন্টে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণেরও দাবি জানান।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট আজকের এই দিনে কাগজের ফুল সিনেমার শুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকা ফিরছিলেন তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ অন্যরা। পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, প্রোডাকশন সহকারী ওয়াসিম ও মাইক্রোবাস চালক মুস্তাফিজুর রহমান। আহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তাঁর  স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম জলি।