গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় কোলের শিশুকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে বালুভর্তি ট্রলির চাপায় নার্গিস বেগম (২৩) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। তবে ভাগ্যক্রমে শিশুটি বেঁচে গেছে। শিশুটির নানি ও মামা হয়েছে।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নার্গিস খুলনার তেরখাদা উপজেলার গাংনী গ্রামের সেলিম খানের স্ত্রী।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরের দিকে জ্বরে আক্রান্ত এক মাস ১১ দিনের শিশুপুত্রকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালে চিকিৎসক দেখিয়ে ভ্যানে করে বাড়ির ফিরছিলেন নার্গিস। এ সময় নাসিমার সঙ্গে তাঁর মা সাফিয়া বেগমও ছিলেন। ভ্যান চালাচ্ছিলেন তাঁর ভাই হাসিব শেখ।

ভ্যানটি হাসপাতাল গেটে পৌঁছালে বালুবোঝাই একটি ট্রলি ভ্যানের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে মারাত্মকভাবে  আহত  হন নার্গিস।  এ সময়  তাঁর কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুটি। নার্গিসের মা সাফিয়া ও ভাই হাসিব আহত হন।

পরে আশপাশের লোকজন ছুতে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নার্গিসকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সংশ্লিষ্ট ট্রলিটি জব্দ করে সদর থানায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ট্রলির চালক ও সহযোগী পালিয়ে যান বলে জানায় পুলিশ।

দিনের বেলা শহরের মধ্যে এসব ট্রলি নিয়ে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ হলেও নানা অনিয়মের সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে শহরে চলাচল করে ট্রলিগুলো। এতে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ বিরাজ করছে।