প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্তরায় : মাহবুব তালুকদার

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্তরায়। নির্বাচনে ভোটারদের প্রাধান্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
আজ সোমবার ময়মনসিংহে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মাহবুব তালুকদার। সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে এই নিশ্চয়তাটুকু আপনাদের কাছে চাওয়া। নির্বাচনের আরেকটি চাওয়া হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারদের নীরিক্ষার মাধ্যমে জয়ী হয়ে পদে আসীন হবেন। কেউ যেন পেছনের দরজা দিয়ে কিংবা আচরণবিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনে জয়ী হতে না পারে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘উপজেলা পরিষদগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে গণতন্ত্রের প্রত্যাশিত ফল লাভ সম্ভব হবে না। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নের জন্য সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্থানীয় কাঠামো পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র অবলম্বন। এই গণতন্ত্র একটি অবকাঠামোর ওপর প্রতিষ্ঠিত। সেটা জাতীয় পর্যায়ে হতে পারে স্থানীয় পর্যায়েও হতে পারে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আপনারা জানেন জাতীয় নির্বাচনের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা নির্বাচন। সারা দেশে পাঁচটি ধাপে এই উপজেলা নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে। এখনকার নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার মতোই উত্তাপ ও উষ্ণতা তেমন একটা অনুভূত হচ্ছে না। বিরোধী দলও নির্বাচনে আসছে না। কিন্তু তারপরও উপজেলা নির্বাচনের দৃশ্যপট শিগগিরই পাল্টে যাবে, আমরা যে উষ্ণতা চাচ্ছি সেই উষ্ণতার সম্ভাবনা দেখা দেবে।’
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করি। আইন ও শৃঙ্খলা এই দুটি শব্দের মধ্যে নির্বাচনের মূল দর্শন আছে বলে আমি মনে করি। এই শব্দের ব্যাখ্যা হচ্ছে নির্বাচন আইনানুগ হওয়া। আইনানুগ মানে সবার প্রতি সম আচরণ ও সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা। ব্যক্তি বা দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব কখনো কখনো আইনানুগ নয়। শৃঙ্খলা শব্দের ব্যাখ্যা হচ্ছে, নির্বাচন শৃংখলাবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ হওয়া। এ জন্য আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন করে সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করাই আমাদের উদ্দেশ্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি।’