ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ৯টি ধারা বাতিল ও সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মৌলভীবাজারের সাংবাদিকরা।

আজ বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের দাবি, গণমাধ্যম, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই ৯টি ধারা।

এ সময় বক্তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক ও নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করবে। সরকার একদিকে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে, অন্যদিকে এ কালো আইন তৈরি করে মানুষের স্বাধীনতা হরণ করেছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। স্বাধীন রাষ্ট্রের এমন দৃশ্য দেশ, জাতি ও গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যথিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের কাছ থেকে কখনো এমন আচরণ আশা করা যায় না।

এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি এম এ সালাম। পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দেশ টিভির প্রতিনিধি সালেহ এলাহী কুটির।

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন শেষে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল হামিদ মাহবুব, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এনটিভির স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এস এম উমেদ আলী, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি ও সময় টিভির প্রতিনিধি শাহ ওয়ালিদুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মুহিব, সমকালের প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম, মাছরাঙ্গা টিভির প্রতিনিধি তমাল ফেরদৌস দুলাল, দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার ইমাদ উদ-দীন, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ, দৈনিক খবরপত্রের প্রতিনিধি শ ই সরকার জবলু, দৈনিক মৌমাছি কণ্ঠের সম্পাদক শেখ সিরাজুল ইসলাম, এশিয়ান টিভির মাহবুর রহমান রাহেল, বাংলা ট্রিবিউনের সাইফুল ইসলাম, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের ওমর ফারুক নাইম ও দৈনিক প্রথম ভোরের মাহমুদ এ এইচ খান।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আকমল হোসেন নিপু, যমুনা টিভির প্রতিনিধি আফরোজ আহমদ, নয়াদিগন্তের আব্দুল আজিজ, মনুবার্তার সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, ভোরের পাতার এ এস কাকন, বাংলা ৭১ এর প্রতিনিধি মো. আব্দুল কাইয়ুম, আলোকিত সিলেটের এমদাদুল হক, বিজয় টিভির জাফর খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো, মঞ্জু বিজয় চৌধুরী, আলী হোসেন রাজন প্রমুখ।

এ সময় তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ৯টি ধারা বাতিল ও সংশোধনসহ সম্পাদক পরিষদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।