জাবি শিক্ষার্থীর বাবা নিহত : ক্ষতিপূরণের দাবিতে ১০ বাস আটক

রাজধানীর বকশীবাজারে বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীর বাবা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে ১০টি বাস আটকে রেখেছেন একদল শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিফাত বিন জুহুর বাবা বকশীবাজারে বাসের চাপায় নিহত হন। এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী মৌমিতা পরিবহণের ১০টি বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এনে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
রিফাতের সহপাঠীরা বলেন, গত মঙ্গলবার দিনগত রাত ২টার দিকে বকশীবাজার এলাকায় যাত্রী ওঠানোর প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে রিফাতের বাবাকে চাপা দেয় মৌমিতা পরিবহণের বাস। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে একদল শিক্ষার্থী বুধবার বিকেলে মৌমিতা পরিবহণের বাসগুলো আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শামসুজ্জামান সায়েম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, রিফাতের বাবাকে মৌমিতা পরিবহণের বাস ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলেছে। রিফাতের একটি ১১ বছর বয়সী ছোট ভাই রয়েছে, যে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। মূলত তার চিকিৎসার জন্য ঈশ্বরদী থেকে তার বাবা ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। রিফাতের পরিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি তার বাবা। তাকে এভাবে হত্যা করা হলো। এই পরিবারের দায়িত্ব এখন কে নেবে? আমরা চাই, মৌমিতা পরিবহণ এই হত্যাকাণ্ডের ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাসগুলো নিয়ে যাবে।’