সকালে স্কুলে ছাত্রীকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’, দপ্তরি আটক

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় সকালবেলায় স্কুলে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এরপর পুলিশ মামলার আসামি ওই স্কুলের দপ্তরিকে আটক করে।
গত শনিবার ‘ধর্ষণচেষ্টার’ পর পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার স্কুলছাত্রীর মা ত্রিশাল থানায় মামলা করেন। আর রাতেই উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আবু সাঈদকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকিউর রহমান গতকাল রোববার রাত ১১টায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
মামলা দায়ের ও আটকের পর আবু সাঈদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে আজ সোমবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে জানান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ।
মামলার বরাত দিয়ে ত্রিশাল থানার ওসি জানান, ওই ছাত্রী শনিবার সকাল ৮টার দিকে দুই বান্ধবীকে নিয়ে বিদ্যালয়ের সততা স্টোরে কলম কিনতে যায়। এ সময় কৌশলে দুই বান্ধবীকে ক্লাসে পাঠিয়ে দেন দপ্তরি আবু সাঈদ। আর স্কুলছাত্রীকে কক্ষে আটকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ সময় ওই ছাত্রী ধাক্কা ও চিৎকার দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে সে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি অবগত করে। ছাত্রীর বড় ভাই গতকাল রোববার সকালে স্কুলে গিয়ে দপ্তরিকে মারধরের চেষ্টা করেন। পরে সাঈদকে স্কুলের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে ত্রিশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিদারুল আলম গিয়ে সাঈদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।