ভৈরবে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তর এলাকায় সবুজ মিয়া (২৪) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় নিজেকে খুনি দাবি করে ফজলে রাব্বী (২৫) নামের এক ব্যক্তি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সবুজ মিয়া পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হৃদয় মাল্টিমিডিয়া নামের একটি কম্পিউটার দোকানের মালিক তিনি। ফজলে রাব্বী পেশায় একজন অটোরিকশার চালক। ফজলে রাব্বী ও তাঁর স্ত্রী কবিতার আট ও পাঁচ বছরের দুটি সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম শ্যামল জানান, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফজলে রাব্বী বাড়ি ফিরে সবুজ ও তাঁর স্ত্রী কবিতাকে একই ঘরে পেয়ে সবুজকে ধারালো ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করেন। এ ঘটনার পরপরই ফজলে রাব্বী নিজেই ভৈরব থানায় গিয়ে পুলিশকে খুনের ঘটনা জানান। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, হৈচৈ ও চিৎকার শুনে প্রতিবেশী ও স্বজনরা সবুজকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান এসআই।
এসআই সাইফুল আরো জানান, প্রাথমিক সুরতহাল বিশ্লেষণে নিহত সবুজের সারা দেহে ২০ থেকে ২৫টি ছুরিকাঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। এ সময় ধস্তাধস্তিতে ফজলে রাব্বীও আহত হয়েছেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম তালুকদার এনটিভি অনলাইনকে জানান, প্রাথমিক তথ্যে ঘটনাটি পরকীয়ার জের বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিষয়টি সম্পর্কে আরো সুস্পষ্টভাবে জানা যাবে।