মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের দুই কর্মী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুবেল নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোর রাতে জেলার রাজনগর উপজেলা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদ জানান, রুবেল জোড়া খুনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তবে নিহতদের পরিবার থেকে এখনো কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে দুই ছাত্রলীগকর্মী মোহাম্মাদ আলী শাবাব ও নাহিদ আহমদ মাহির মরদেহ আজ বেলা সাড়ে ১১টায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নিহত মাহিরের জানাজা বাদ জুমা সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে বিকেল সাড়ে ৪টায় নিহত শাবাবের জানাজা মৌলভীবাজার টাউন ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। একই স্থানে মাহিরের দ্বিতীয় জানাজাও অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় মৌলভীবাজার শহরের সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে মাহিরের দাফন সম্পন্ন হয়।

শাবাবের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শাবাবের বড় বোন কানাডা থেকে ফেরার পর শনিবার লাশ দাফন করার কথা রয়েছে। বর্তমানে লাশটি হিমঘরে রাখা আছে।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর আয়াছ আহমদ, জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রনিসহ আত্মীয়স্বজন, নিহতদের সহপাঠী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।

এর আগে সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন ও জেলা প্রশাসক দুই ছাত্রলীগ কর্মীর লাশ দেখতে হাসপাতালের মর্গে যান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে দুই ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।