শিক্ষাগত সব সনদই ভুয়া, প্রধান শিক্ষকের ১২ বছরের সাজা

শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা মামলায় ঝালকাঠির নলছিটি ডেবরা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনকে ১২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস। এ মামলায় আসামি রুহুল আমিনের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জাল সনদে শিক্ষকতা, প্রতারণা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ২০১১ সালের ২৬ জুন প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় একটি মামলা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম হারুন অর রশিদ। মামলাটি তদন্ত করে ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, স্কুলের চাকরিতে যোগদানের সময় রুহুল আমিনের দাখিল করা এসএসসি ও এইচএসসি সনদকে যশোর শিক্ষা বোর্ড এবং বিএ ও বিএড পরীক্ষার সনদকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভুয়া বলে প্রত্যয়ন করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়।
২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার তদন্তে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের শিক্ষাগত সব সনদই ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের জুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করেন। পরে ওই স্কুলের শিক্ষকদের মাসিক হাজিরা খাতায় রুহুল আমিনের এমপিও স্থগিতের বিষয়টি উল্লেখ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এরপর এমপিও স্থগিতের বিষয়টি মাসিক হাজিরা খাতায় উল্লেখ না করতে হুমকি ও চাপ সৃষ্টির অভিযোগে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়।