খতিবকে হত্যাচেষ্টা : আসামি বিল্লাল কারাগারে

চাঁদপুরে মসজিদের ভেতরে খতিবের ওপর হামলার মামলায় আসামি বিল্লাল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালতে। আজ শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে আসামি বিল্লালকে চাঁদপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদের আদালতে হাজির করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি আব্দুল কাদের খান ও জেলা জজ আদালতের এপিপি ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম।
চাঁদপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক শহীদুল্লাহ জানান, বিকেল ৩টার সময় আসামিকে আদালতে আনা হয়। এরপর আসামি বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন।
রাজধানীর হলি কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খতিব মাওলানা আ ন ম নূরুর রহমান মাদানী চাঁদপুর শহরের গুনরাজদী এলাকার বাসিন্দা। তিনি শুক্রবার মসজিদে খুতবা দেন। অপরদিকে, হামলাকারী বিল্লাল হোসেন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চাঁদপুর শহরের বকুলতলায় বসবাস করেন।
গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) বাদ জুমা চাঁদপুর পৌর এলাকার প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে মাওলানা আ ন ম নূর রহমান মাদানী হামলার শিকার হন। এর আগে তিনি জুমার নামাজে আলোচনা ও খুতবা দেন। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত ছিলেন ওই এলাকার ভ্রাম্যমাণ সবজি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। তিনি এদিন নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে চাপাতি দিয়ে মসজিদের খতিবের ওপর হামলা চালান। এতে করে খতিবের কান ও মাথায় মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে মুসল্লিরা তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এ সময় হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করে মুসল্লিরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত খতিব মাওলানা আ ন ম নুরুর রহমান মাদানীর ছেলে আফনান তাকি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় শহরে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য শনিবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া বিকেল ৫টায় শহরের রেলওয়ে বায়তুল আমিন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর শহর শাখা।