সাকরাইন উৎসবে জমজমাট পুরান ঢাকার আকাশে রংবেরঙের ঘুড়ি

পুরান ঢাকায় আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব। রংবেরঙের ঘুড়ি পাখা মেলেছে আকাশে। আর, সন্ধ্যার পর আকাশে দেখা যাবে আতশবাজির ঝলকানি। প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদ থাকবে সাজানো, বাজবে গান। যদিও গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে করোনা প্রতিরোধে শুরু হয়েছে বিধিনিষেধ, তারপরও এ উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবেন সব ধর্মের, সব বয়সী মানুষ—এমনটাই মনে করছেন পুরান ঢাকাবাসী।
পৌষসংক্রান্তির এ উৎসব কয়েকশ বছরের পুরোনো। উৎসব দেখতে ঢাকার অন্যান্য এলাকা তো বটেই, বিদেশিরাও ভিড় করেন পুরান ঢাকায়। দিনে ঘুড়ি আর রাতে আতশবাড়ির আলোয় মুগ্ধ হন তাঁরা। আকাশে ওড়া নানা রঙের ঘুড়ি কে কার আগে কাটতে পারে, তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। ঘুড়ি কেটে ফেলার আনন্দের ‘বাকাট্টা..বাকাট্টা..ধর ধর…’ বলে চিৎকার-মাতামাতি।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গত বছর জাঁকজমকভাবেই সাকরাইন উৎসব হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বিধিনিষেধ আরোপ হলেও স্থানীয়দের প্রত্যাশা—আজও সাকরাইন উৎসবে থাকবে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ।
এদিন ঘুড়ি ওড়ানোর পাশাপাশি পুরান ঢাকার বেশির ভাগ বাড়ির ছাদেই গানবাজনার আয়োজন থাকবে। কোনো কোনো বাড়িতে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে লাইটিংয়ের কাজ। সন্ধ্যার পর আতশবাজিতে মুখরিত হয়ে উঠবে এলাকা, বলছেন স্থানীয়রা।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এ সাকরাইন উৎসবকে পৌষ সংক্রান্তি বা ঘুড়ি উৎসবও বলা হয়। পঞ্জিকা অনুযায়ী পৌষ মাসের শেষ দিন এ সাকরাইন উৎসব আয়োজন করা হয়। তবে বাংলা ক্যালেন্ডার এবং পঞ্জিকার তারিখের সঙ্গে কিছুটা পার্থক্য থাকায় প্রতি বছর দুই দিনব্যাপী উৎসবটি পালন করে পুরান ঢাকার বাসিন্দারা।