যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রুস্তমের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সদর উপজেলা যুবলীগ। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গত ১ ডিসেম্বর মাহমুদুল হাসান রুস্তমকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে দায়ের করা মামলায় ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তামজিদ উল্লাহ প্রধান লিল্টু, সদর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হানিফ আলী।
লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মতিউর রহমানের নির্দেশে আসামিরা সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান রুস্তমকে হত্যার উদেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। হাসান রুস্তম বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় আহত হাসান রুস্তমের চাচা জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
২৮ জন আসামির মধ্যে আছেন, জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা যুবলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক রাজা, রাজার ভাই রাফি, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী মতিউর রহমান, জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজর আলী, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য তাপস সাহা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সোহা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি লিয়াকত আলী ভাণ্ডারীর ভাগ্নে আজাদ সরকার, রানা সরকার, ভাতিজা শরিফুল ইসলাম ও মফিজুল ইসলাম ।